Bangla News Dunia, বাপ্পাদিত্য:- ডায়ানামাইটের আবিষ্কারক এবং উদ্যোগপতি অ্যালফ্রেড নোবেলের উইল অনুযায়ী, নোবেল শান্তি পুরস্কার তাঁরই পাওয়া উচিত যিনি বিশ্বের দেশগুলির মধ্যে সৌভ্রাতৃত্ব বজায় রাখতে সাহায্য করেছেন। শান্তি সম্মেলনের স্থাপনা, সেনা মোতায়েন প্রত্যাহার সহ একাধিক বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকলেও নোবেল শান্তি পুরস্কারের তালিকায় ঠাঁই হতে পারে কোনও ব্যক্তির।
উল্লেখ্য, ইজরায়েল এবং পাকিস্তানের পক্ষ থেকে পরবর্তী নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নাম প্রস্তাব করা হয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় এই নিয়ে চলছে জোর চর্চা। আদৌ কি নোবেল শান্তি পুরস্কারের যোগ্য ট্রাম্প? নানা মহলে উঠছে প্রশ্ন।
প্রসঙ্গত, এখনও পর্যন্ত ৪ জন মার্কিন প্রেসিডেন্ট নোবেল শান্তি পুরস্কার পেয়েছেন। তাঁরা হলেন, থিয়োডর রুজভেল্ট, ব্রুডো উইলসন, জিমি কার্টর এবং বারাক ওবামা।
আরও পড়ুন:- দুবাইতে স্থায়ীভাবে বসবাস অনেকটাই সহজ হয়ে গেল! কি সুবিধা ঘোষণা করল UAE সরকার ? জানুন
ট্রাম্প কি পেতে পারেন নোবেল?
ট্রাম্প এই পুরস্কার পেলে তিনিই হবে পঞ্চম মার্কিন প্রেসিডেন্ট যিনি নোবেল শান্তি পুরস্কারে ভূষিত হবেন। নোবেল শান্তি পুরস্কারকে অনেক ক্ষেত্রেই রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি থেকে বিচার করা হয়। নোবেল পুরস্কারের নিজস্ব ওয়েবসাইটেই উল্লেখ রয়েছে, অনেক নোবেল শান্তি পুরস্কার প্রাপক আছেন, যাঁরা বিতর্কিত রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব হিসেবেই পরিচিত। এই পুরস্কার প্রাপকরা আন্তর্জাতিক এবং রাষ্ট্রীয় স্তরের নানা সংঘর্ষ সম্পর্কে জনসাধারণের জ্ঞান বৃদ্ধিও করেছেন।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট পদে বসার কয়েক মাসের মধ্যেই এই সম্মান পেয়েছিলেন বারাক ওবামা।
আবার ১৯৯৪ সালে যখন প্যালেস্তাইন নেতা ইয়াসার আরাফাত, ইজরায়েলের শিমোন পেরেজ এবং ইয়াৎজাফ রবিন নোবেল শান্তি পুরস্কার জমিতেছিলেন তখন কমিটির এক সদস্য পদত্যাগ করেছিলেন।
নরওয়ের নোবেল শান্তি পুরস্কার কমিটিই এই সম্মানের দাবিদার বেছে নেয়। এই কমিটিতে থাকেন নরওয়ের সংসদ নিযুক্ত ৫ ব্যক্তি। বর্তমানে এই কমিটির নেতৃত্বে পেন ইন্টারন্যাশনালের নরওয়ে শাখার প্রধান রয়েছেন। এই শাখা কমিটির নিরপেক্ষতা বজায় রাখে।
নোবেল পেতে মরিয়া ট্রাম্প
নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনীত হওয়ার পর থেকেই উচ্ছ্বসিত ডোনাল্ড ট্রাম্প। তাঁকে মনোনয়ন করার জন্য ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর প্রশংসা করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। দীর্ঘদিন ধরেই ট্রাম্প নিজেকে এই সম্মানের আসল দাবিদার মনে করছেন। তিনি বলেছেন,’আমার ওরা কখনওই নোবেল শান্তি পুরস্কার দেবে না। এটা অন্যায়। তবে আমি এর যোগ্য।’
ট্রাম্পকে ২০১৮, ২০২০ এবং ২০২১ সালেও নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনীত করা হয়েছিল। তিনি এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘আমি অহংকারী নই। কিন্তু নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য আমিই যোগ্য। আপনারা কল্পনা করতে পারেন, ক্ষমতায় এসেই বারাক ওবামা নোবেল শান্তি পুরস্কার পেয়ে গেলেন। আমি তাহলে কি কিছুই করিনি? উনি তো ৮ বছর কিছু না করেই নোবেল পেয়ে গেলেন। আলাদা আলাদা করে অনেকগুলি ইস্যুর সমাধান করেছি আমি। আমার বেলায় কেন এমনটা হবে না?’
উল্লেখ্য, প্রতি বছর নোবেল পুরস্কারের জন্য মনোনয়ন জমার শেষ তারিখ হয় ৩১ জানুয়ারি। যেহেতু ট্রাম্পের মনোনয়ন সেই তারিখের পর করা হয়েছে ফলে তাঁকে ২০২৫ নয়, ২০২৬ সালের পুরস্কারের জন্য মনোনীত করা হতে পারে আনুষ্ঠানিক ভাবে।
আরও পড়ুন:- পোষা কুকুর বা বিড়াল আঁচড়ালেও কি ইনজেকশন নিতে হবে ? জেনে রাখা জরুরি