Bangla News Dunia, Pallab : দেশজুড়ে বুধবার ভারত বনধের (Trade Union Strike) ডাক দিয়েছে দেশের ১০টি কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়ন এবং কৃষক ও গ্রামীণ শ্রমিক সংগঠনগুলির যৌথ মঞ্চ। ভারত বনধের জেরে এদিন সকাল থেকে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গা উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। পুলিশের সঙ্গে বনধ সমর্থকদের ধস্তাধস্তি ও বচসা হয়। একাধিক জায়গায় ট্রেন ও রাস্তা অবরোধ হয়।
আরো পড়ুন : সবাইকে নতুন বাড়ি তৈরি করে দিচ্ছে মোদী সরকার ! কিভাবে আবেদন জানাবেন ?
এদিন বামেদের ধর্মঘট ঘিরে উত্তাল হয়ে ওঠে যাদবপুরের গাঙ্গুলিবাগান। মিছিলে বাধা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে পুলিশের বিরুদ্ধে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ধুন্ধমার পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। গাঙ্গুলিবাগান মোড়ে পুলিশের সঙ্গে বাম কর্মী-সমর্থকদের কার্যত খণ্ডযুদ্ধ বেঁধে যায়। অভিযোগ, একের পর এক দোকানে ঢুকে শাটার নামিয়ে দেওয়া হয়। এসএফআইয়ের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক সৃজন ভট্টাচার্যকে (Srijan Bhattacharya) চ্যাংদোলা করে এলাকা থেকে সরিয়ে দেয় পুলিশ। ধাক্কাধাক্কিতে সৃজনের পরনের শার্ট ছিঁড়ে যায়। সৃজনের দাবি, তিনি আহত হয়েছেন। একযোগে তৃণমূল ও বিজেপিকে আক্রমণ করেন সৃজন। মহিলা বাম-সমর্থকরাও আক্রান্ত হন বলে অভিযোগ। একজন অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাতেও পরিস্থিতি শান্ত হয়নি। ঘটনাস্থলে যান ডিসি, এসএসডি বিদিশা কলিতা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সৃজন সহ ১৯ জনকে পুলিশ আটক করেছে বলে খবর।
সাধারণ ধর্মঘটের সমর্থনে নিউটাউনের গৌরাঙ্গ নগরে সিপিএম পার্টি অফিস থেকে আটো স্ট্যান্ড পর্যন্ত সিপিএমের সমর্থকেরা মিছিল করেন। সেখানে রাস্তা অবরোধ করে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখানো হয়। কলকাতায় লেকটাউনের পাশাপাশি বাঙুরেও অবরোধ করেন আন্দোলনকারীরা।
লেকটাউনে যশোর রোড অবরোধ করলে পুলিশের সঙ্গে বাম সমর্থকদের ধস্তাধস্তি ও বচসা বাধে। এ দিকে, যাদবপুরের ৮বি-এর সামনে আন্দোলনকারীরা প্রধানমন্ত্রীর কুশপুতুল দাহ করেন। যাদবপুর স্টেশনেও অবরোধ করেন আন্দোলনকারীরা।
উত্তর ২৪ পরগনার শ্যামনগর ও ইছাপুরের মধ্যে ২২ নম্বর লেভেল ক্রসিংয়ের গেট অবরোধ করেন বাম সমর্থকরা। অন্যদিকে, হাওড়ার ডোমজুড়ে সিপিএম কর্মীরা বাস ও লরি থেকে চালকদের নামানোর চেষ্টা করেন। এর জেরে উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। ঘটনাস্থলে পুলিশ বাহিনী ও র্যাফ লাঠি উঁচিয়ে সিপিএম কর্মীদের ছত্রভঙ্গ করে। পূর্ব বর্ধমানের পূর্বস্থলী ১ নম্বর ব্লকের সমুদ্রগড় রেল স্টেশনেও বনধের প্রভাব পড়েছে। সিপিএম সমর্থকরা হাওড়া-কাটোয়া আপ লোকাল ট্রেন আটকে রেললাইনে অবরোধ শুরু করেন। সকাল থেকেই হুগলি স্টেশনে রেল অবরোধ করা হয়। পরে রেল পুলিশ এসে অবরোধ তুলে দেয়।
আরও পড়ুন : যে কোনও মুহূর্তে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হতে পারে? কেন এমন আশঙ্কা কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর ? জানুন