Bangla News Dunia, বাপ্পাদিত্য:- ভারতে চিকিৎসার খরচ ক্রমাগত বেড়ে চলায় জেনেরিক ওষুধ একটি গুরুত্বপূর্ণ বিকল্প হিসেবে উঠে এসেছে। বর্তমানে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারে জেনেরিক ওষুধের ব্যাপক চাহিদা দেখা যাচ্ছে। ফার্মা বিশেষজ্ঞদের মতে, জেনেরিক ওষুধগুলি ব্র্যান্ডেড ওষুধের মতোই কার্যকর এবং নিরাপদ, তবে কিছু বিষয়ে সচেতনতা থাকা জরুরি।
জেনেরিক ওষুধ আসলে কী?
জেনেরিক ওষুধ হল ব্র্যান্ডেড ওষুধের সস্তা বিকল্প, যা সেই একই সক্রিয় উপাদান দিয়ে তৈরি। যখন কোনও ব্র্যান্ডেড ওষুধের পেটেন্টের মেয়াদ শেষ হয়, তখন অন্যান্য সংস্থাগুলি ওই ওষুধের জেনেরিক সংস্করণ বাজারে আনতে পারে।
কার্যকারিতা ও নিরাপত্তা কতটা?
বিশেষজ্ঞ জীবন কাসারা জানান, ‘জেনেরিক ওষুধগুলির সক্রিয় উপাদান, ডোজ ও কার্যকারিতা ব্র্যান্ডেড ওষুধের মতোই। এগুলিও কঠোর জৈব-সমতা পরীক্ষার মাধ্যমে প্রমাণ করে যে শরীরে একই প্রভাব ফেলে।’
ভারতের CDSCO, USFDA এবং ইউরোপীয় নিয়ন্ত্রকদের মানদণ্ড পূরণ করা ছাড়াও, বাজারে আসার পরেও এই ওষুধগুলির কার্যকারিতা ও নিরাপত্তা নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করা হয়।
আরও পড়ুন:- দুবাইতে স্থায়ীভাবে বসবাস অনেকটাই সহজ হয়ে গেল! কি সুবিধা ঘোষণা করল UAE সরকার ? জানুন
কেন সস্তা, তবুও কার্যকর?
জেনেরিক ওষুধ ব্র্যান্ডেড ওষুধের তুলনায় ৩০% থেকে ৯০% পর্যন্ত সস্তা, কারণ এতে পেটেন্ট বা বিপণন ব্যয় থাকে না। তা সত্ত্বেও, নিয়ন্ত্রক মান পূরণ করে বলেই এগুলি নিরাপদ।
ডাক্তাররা সবসময় জেনেরিক ওষুধ লিখে দেন না কেন?
অনেক চিকিৎসকই রোগীর চাহিদা, বাজারে প্রচলিত ব্র্যান্ড এবং কিছু ক্ষেত্রে গুণমান নিয়ে সংশয় থাকায় ব্র্যান্ডেড ওষুধ লিখে দেন। আবার কিছু চিকিৎসক অভ্যাসগত কারণেও জেনেরিক ওষুধ এড়িয়ে চলেন।
কীভাবে বুঝবেন জেনেরিক ওষুধ নির্ভরযোগ্য?
লাইসেন্সপ্রাপ্ত ফার্মেসি থেকে কিনুন। ব্যাচ নম্বর, মেয়াদ ও উৎপাদক সংস্থা খতিয়ে দেখুন। পরিচিত, নামী সংস্থার ওষুধ বেছে নিন
আরও পড়ুন:- পোষা কুকুর বা বিড়াল আঁচড়ালেও কি ইনজেকশন নিতে হবে ? জেনে রাখা জরুরি