Bangla News Dunia , পল্লব চক্রবর্তী : আজ শুক্রবার সিদ্ধিদাতা ভগবান গণেশের পুজো মূলত পশ্চিম ভারতের উত্সব হলেও গত কয়েক বছরে এই রাজ্যেও বেড়েছে গণেশবন্দনা। সব কোভিড নীতি মেনেই চলছে সিদ্ধিদাতার আরাধনার প্রস্তুতি। গনেশ পুজো মানেই গুজরাট বা মহারাষ্ট্র! দশ দিনের জাঁকজমক করে পুজো করা হয়। বাড়িতেও ধুমধাম করে পালিত হয় এই চতুর্থী।
গণেশ পুজো চলে দুই থেকে দশ দিন। তারপর ১১ দিনের মাথায় শোভাযাত্রা করে মূর্তি নিয়ে গিয়ে জলে বিসর্জন দেওয়া হয়। কাজে সমৃদ্ধি তথা সিদ্ধি দান করেন গণেশ। বাড়িতে গণেশ পূজা করলে সেখানে সুখ, শান্তি যেমন বজায় থাকে, প্রবেশ করতে পারে না বিপদও। এই বছর গণেশ চতুর্থীর সময় পড়েছে সকাল ১১.০৯ মিনিট থেকে রাত ১০.৫৯ মিনিট পর্যন্ত। ১২টা ১৭ মিনিটে অভিজিত্ মুহূর্ত থেকে এবং এই শুভক্ষণ থাকবে রাত ১০টা পর্যন্ত। এই দিনের বিশেষ সময়কে মাথায় রেখেই বাড়িতে গণেশ প্রতিষ্ঠা করুন। খুবই শুভ।
২১টি দূর্বা ঘাস, ২১টি মোদক ও লাল ফুল গণেশের সামনে সাজিয়ে রাখতে হয়। মূর্তির মাথায় আঁকতে হয় লাল চন্দনের টিকা। এরপর গণেশ মূর্তির সামনে নারকেল ভেঙে অশুভ শক্তিকে দূর করতে হয়। তারপর গণেশের ১০৮ নাম জপ করতে হয়। ভাদ্রপদ শুক্লপক্ষের চতুর্থী তিথিতে গণেশের জন্ম হয়। ভাদ্রপদ শুক্লপক্ষের চতুর্থী অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সারা দেশে গণেশ চতুর্থী পালিত হয়। জ্যোতিষ শাস্ত্রে চতুর্থীকে রিক্তা তিথি বলা হয়েছে। কোনও শুভ কাজ হয় না। কিন্তু সেই দিনই গণেশের জন্মদিন হওয়ায় চতুর্থীতে রিক্তা তিথির দোষ গ্রাহ্য করা হয় না। তাই সমস্ত শুভ কাজ করা যায়।
আরও খবর পেতে ফলো করুন আমাদের চ্যানেল