Bangla News Dunia , পল্লব চক্রবর্তী : রেকর্ড বৃষ্টিপাত হয়েছে এই বছর। ভারী বৃষ্টির দাপটে এখনও বহু জায়গাই জলবন্দি। ঘরের ভেতরেও জল জমে আছে অনেক জায়গাতে। জেলার দিকে বর্ষাকালে মানুষের মনে সবচেয়ে বেশি ভয় বাসা বেধে থাকে, তা হল সাপ। বর্ষাকালে একটু গ্রামের দিকে অনেক সময় মানুষের বাড়িতেও সাপ ঢুকে পড়ে। যা নিয়ে অনেকেই আতঙ্কে ভোগে। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন , বেশির ভাগ সাপ বিষধর নয়। সঙ্গে সঙ্গে চিকিত্সা করা সম্ভব হলে আক্রান্ত ব্যক্তি সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে উঠতে পারেন। কিন্তু বিষধর সাপে কামড়ানোর পর চিকিত্সা শুরু করতে দেরি হলে তা রোগীর জন্য বিরাট সমস্যা হতে পারে।
সাপের বিষ হল এক ধরনের লালা জাতীয় পদার্থ। এর উপাদান হল প্রোটিন ও এনজাইম। এর প্রভাবে রক্তচাপ কমে যায় এবং পেশির উপর থেকে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে যায়। প্রোটিন ও এনজাইম ছাড়াও বিষে থাকে নিউরোটক্সিন ও জিংক সালফাইড। গ্রামাঞ্চলে পাওয়া অত্যন্ত বিষাক্ত সাপ গুলি হল কেউটে , গোখরো, চন্দ্রবোড়া, শঙ্খচূড়। জলঢোড়া, দাঁড়াশ, কালনাগিনী হল বিষহীন সাপ। অধিকাংশ মানুষ বিষহীন ও বিষধর সাপের মধ্যে পার্থক্য চিনতে পারেন না। তাই সাপ কামড়ালে আতঙ্কেই বেশিরভাগ মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়েন। সাপ কী ভাবে আলাদা করে চিনবেন তা জেনে নিন এখানে।
বিষাক্ত সাপ চেনার উপায় —–
১. বিষধর সাপের চোখের মণি লম্বাটে হয়।
২. বিষাক্ত সাপের লম্বাটে বিষদাঁত রয়েছে।
৩. কামড়ের সময় এই বিষ দাঁত বসিয়ে দেয় সাপ। দুটো দাগ পরে যাবে।
বিষহীন সাপ চেনার উপায়
১. বিষহীন সাপের চোখের মণি গোলাকার হয়।
২. এদের দাঁত থাকলেও বিষগ্রন্থি থাকে না। কামড়ালে ৪টে দাগ বসে।
সাপ তাড়ানোর উপায়
পরিচিত পদ্ধতি হল কার্বলিক অ্যাসিডের ব্যবহার। ঘরের চারপাশে কার্বলিক অ্যাসিড ছড়িয়ে দিলে সাপ প্রবেশ করতে পারে না।সালফারের গুঁড়ো লাগলে সাপের চামড়ায় জ্বালা করে ও সাপ দূরে সরে যায়।
রসুন বেটে নিয়ে তার সঙ্গে যে কোনও তেল মিশিয়ে একদিন রেখে দিন। এই মিশ্রণ বাড়ি চারপাশে ভালো করে স্প্রে করে দিলে সাপ প্রবেশ করে না। সাপ দূরে রাখতে বাড়ির চারপাশ ভালো করে পরিষ্কার রাখুন। ঝোপ জঙ্গল না গজিয়ে যায় সেই বিষয়ে খেয়াল রাখুন।
আরও খবর পেতে ফলো করুন আমাদের চ্যানেল