Bangla News Dunia, বাপ্পাদিত্য:- ভোট যত এগিয়ে আসছে, বিহারের রাজনীতিতে ততই নানারকম সমীকরণ তৈরি হচ্ছে। বিজেপি নেতৃত্বাধীন ন্যাশনাল ডেমোক্র্যাটিক অ্যালায়েন্স (এনডিএ) থেকে সরে দাঁড়াল পশুপতি কুমার পারসের নেতৃত্বাধীন রাষ্ট্রীয় লোক জনশক্তি পার্টি (RLJP)। বিআর আম্বেদকরের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত একটি সভায় পারাস নিজেই এই ঘোষণা করেন এই সিদ্ধান্ত। ২০১৪ সাল থেকে এনডিএ-র শরিক থাকলেও, এবার তিনি স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দেন, ‘আজ থেকে আমার দল আর এনডিএ-র অংশ নয়।’
পারাসের অভিযোগ, তাঁর দল দলিত-সমাজকে প্রতিনিধিত্ব করে বলেই বিজেপি এবং জেডিইউ নেতারা তাদের গুরুত্ব দেয়নি। বিহারে এনডিএ-র বৈঠকগুলিতে দলের কোনও উল্লেখই করা হয়নি বলে ক্ষোভ উগরে দেন তিনি। তিনি আরও বলেন, ‘আমরা ন্যায়বিচার চাইছিলাম। কিন্তু শুধু অবহেলা পেয়েছি। আমি দীর্ঘদিন এনডিএ-র সঙ্গে ছিলাম, কিন্তু বারবার অপমানিত হতে হতে এবার সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিলাম।’
এদিন পারস ইঙ্গিত দেন, যদি মহাগঠবন্ধন (Grand Alliance) তাঁদের উপযুক্ত সম্মান দেয়, তাহলে ভবিষ্যতে তাঁদের সঙ্গে জোট গঠনের সম্ভাবনা রয়েছে। উল্লেখযোগ্যভাবে, চলতি বছরে তিনি আরজেডি প্রধান লালু প্রসাদ যাদবের সঙ্গে একাধিকবার বৈঠক করেছেন।
নীতীশ কুমারের বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণ
বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে পারস বলেন, ‘গত ২০ বছরে নীতীশ কুমার বিহারের শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংস করেছেন। কোনও নতুন শিল্প স্থাপন হয়নি। সমস্ত কল্যাণমূলক প্রকল্পেই দুর্নীতি চলছে।’ এই সমস্ত কারণেই তিনি এনডিএ থেকে নিজেকে সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানান।
২০২১ সালে লোক জনশক্তি পার্টিতে ভাঙনের পর আলাদা হয়ে গিয়ে পারস RLJP গঠন করেন, যেটি তাঁর প্রয়াত ভাই রামবিলাস পাসওয়ানের তৈরি দলের একটি শাখা। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এনডিএ-র মধ্যে তাঁর প্রভাব কমতে থাকে। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে তাঁর ভাগ্নে চিরাগ পাসওয়ানের দল এনডিএ থেকে পাঁচটি আসনে লড়ার টিকিট পায়, অথচ পারসকে কোনও গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। গত বছর পারস কেন্দ্রীয় মন্ত্রিত্ব ছেড়ে দেন, এমনকি বিহার সরকার প্রদত্ত সরকারি বাসভবনও তাঁকে খালি করতে বলা হয়, যা পরে চিরাগ পাসওয়ানের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
এনডিএ-র প্রতিক্রিয়া
RLJP-র এই সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন করা হলে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জিতন রাম মাঁঝি বলেন, ‘এর ফলে এনডিএ-তে কোনও বিরূপ প্রভাব পড়বে না।’ এই রাজনৈতিক পরিবর্তনের ফলে বিহারের রাজনীতিতে বড়সড় পরিবর্তন ঘটতে পারে বলে মনে করছেন পর্যবেক্ষকরা। এখন দেখার বিষয়, RLJP ভবিষ্যতে মহাগঠবন্ধনের সঙ্গে সত্যিই হাত মেলায় কিনা।
আরও পড়ুন:- মাত্র ৫ হাজার টাকায় কলকাতা থেকে ৭টি দুর্দান্ত ট্রিপ, জানতে বিস্তারিত পড়ুন
আরও পড়ুন:- নববর্ষে খুশির খবর! রোজভ্যালির টাকা ফেরত পেতে চলেছেন ৭.৫ লক্ষ মানুষ