Bangla News Dunia , দীনেশ :- লাগাতার সমর্থন পেতে পেতে আচমকা বিক্ষোভের মুখে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস। শেখ হাসিনা সরকার পতনের পরে যে ছাত্রসমাজ তাঁকে ক্ষমতার কুর্সিতে বসিয়েছিল, এ দিন তাদেরই একাংশ তাঁর সরকারি বাসভবন ঘেরাওয়ে এসে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে ধুন্ধুমার সংঘর্ষে জড়াল। পুলিশের ছোড়া গ্যাস শেলে ১০-১৫ জন আহত হলেও দমানো যায়নি ক্ষুব্ধ ছাত্রদের। কার্যত তেড়ে এসে তাঁরা ফের ঘেরাও-অবস্থান করেন ইউনূসের বাড়ি ‘যমুনা’।
আরো পড়ুন :- ‘গদ্দার হঠাও, ভাঙড় বাঁচাও’, সায়নী ঘোষের নিশানায় বাহুবলী তৃণমুল নেতা !
দাবি একটাই— সরকারি চাকরিতে আবেদনে বয়সের ঊর্ধ্বসীমা ৩০ থেকে ৩৫ করা হোক। দাবি ওঠে, আজই এই সংক্রান্ত নির্দেশিকা জারি হোক। বিস্তর অশান্তির পরে বিকেলের দিকে ইউনূসের বাড়িতে ঢুকে ঘণ্টাখানেক বৈঠকও হয় তাঁদের। কিন্তু সবই ‘নিষ্ফলা’! পড়ুয়াদেরই একাংশ জানান, বৈঠক ব্যর্থ।
আরো পড়ুন :- এবার পাক ক্রিকেটারদের জন্য ফতোয়া জারি করলো পাক বোর্ড !
পরে অবশ্য কিছুটা সুর নামিয়েই আন্দোলনকারীদের তরফে রাসেল আল মাহমুদ বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা ক্লান্ত থাকায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ ও নাহিদ ইসলামের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। কাল, মঙ্গলবার ৩৫-এর দাবিপূরণে আমাদের একটি প্রতিনিধিদল জনপ্রশাসন মন্ত্রকের সঙ্গে বৈঠক করবে।’ তিনি বলেন, ‘হুট করে নির্দেশিকা জারি করা সম্ভব নয়।’
দাবিপূরণ সংক্রান্ত যে আলোচনা হবে, তার একটি প্রতিবেদন আগামী সাত দিনের মধ্যে প্রকাশ করা হবে বলেও মিডিয়াকে জানান রাসেল। আর এক আন্দোলনকারী আবু সাঈদ সাদ বলেন, ‘আন্দোলন এখনই শেষ করছি না। তবে এখন আমরা যমুনার সামনে থেকে চলে গিয়ে শাহবাগে অবস্থান করব।’
আরো পড়ুন :- বাংলাদেশকে ঋণ পরিশোধ করতে চাপ দিচ্ছে চিন, বিশবাঁও জলে বাংলাদেশের একাধিক প্রকল্প
চাকরিতে এজ লিমিট বাড়ানোর দাবি নতুন নয়। হাসিনা-আমলেও ওঠে বেশ কয়েক বার। তবে এই সংক্রান্ত একটি কমিটির রিপোর্ট উদ্ধৃত করে হাসিনা তা নাকচই করে দেন। জুলাইয়ের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ফের তা মাথাচাড়া দেয়। অনেকেই মনে করেছিলেন, হাসিনা সরকারের পতন হলেই তাঁদের দাবি মেনে নেওয়া হবে। তা না হতেই ফের অশান্তি।
এত দিন আন্দোলন চলছিল শাহবাগে। এ দিন আচমকা ১৪৪ ধারা ভেঙে তাঁরা যমুনা-ঘেরাওয়ে এগোেলই বাধা দেয় পুলিশ। কিন্তু পরিস্থিতি যে এমন রণক্ষেত্র হয়ে উঠবে, তা সম্ভবত বাহিনীও আন্দাজ করতে পারেনি।
#End