Bangla News Dunia , দীনেশ :- শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর গ্রেপ্তার করা হয়েছে একাধিক প্রাক্তন সাংসদ এবং মন্ত্রীকে। শেখ হাসিনা-সহ আওয়ামি লিগের অনেক নেতা, প্রাক্তন মন্ত্রী এবং সংসদ সদস্যও বাংলাদেশ ছেড়েছেন বলে জানা গিয়েছে। ওই নেতাদের অনেকেই ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন বলেও সূত্রের খবর। বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুসারে, হাসিনার আমলের মন্ত্রী এবং সাংসদদের মধ্যে যাঁরা ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন তাঁদের মধ্যে আছেন প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। তিনি কলকাতায় লুকিয়ে আছেন।
বাংলাদেশের একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের খবর অনুসারে, আসাদুজ্জামান খানকে দেখা গিয়েছে কলকাতার ইকো পার্কে। তবে এই নিয়ে তাঁদের কাছে কোনও তথ্য নেই বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশের পুলিশের শীর্ষ আধিকারিকরা। আসাদুজ্জামান খান কলকাতা এসে থাকলে তিনি অবৈধ উপায়ে এসেছেন বলেও মন্তব্য করেছেন পুলিশের আধিকারিকরা।
কৃষি ক্ষেত্রে দক্ষ কর্মীদের এ, বি ও সি অঞ্চলে বেতন বৃদ্ধি হয়েছে যথাক্রমে ৫৯৩ টাকা, ৫৪৬ টাকা এবং
গত ৫ অগস্ট পতন হয় হাসিনার সরকারের। সেই দিনই তিনি ভারতে চলে আসেন। তারপর থেকেই হাসিনার আমলের অনেক মন্ত্রী, সাংসদ, পুলিশ আধিকারিক এবং আমলাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বিমানবন্দর থেকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে একাধিক মন্ত্রীকে। তাঁদের বিরুদ্ধে খুন এবং অন্যান্য মামলাও দায়ের করা হয়েছে। বেশ কয়েকজন নেতা, প্রাক্তন সাংসদ এবং মন্ত্রীও দেশ ছেড়েছেন বলে জানা গিয়েছে। বেশ কয়েকজন ভারতে এবং অন্য দেশে চলে গিয়েছেন বলেও দাবি করা হচ্ছে।
আরো পড়ুন :- এবার পাক ক্রিকেটারদের জন্য ফতোয়া জারি করলো পাক বোর্ড !
এদিকে, বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমে বলা হয়েছে, সেখানের একটি টেলিভিশন চ্যানেলের খবর অনুসারে, গত ২৮ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় ইকো পার্কে আড্ডা দিতে দেখা গিয়েছে আসাদুজ্জামান খান কামালকে। তাঁর মুখে ছিল সাদা দাড়ি। সেখানে কামালের সঙ্গে ছিলেন প্রাক্তন সাংসদ অসীম কুমার উকিল এবং আওয়ামি লিগের একাধিক নেতা। তবে সেখানে কয়েকজন বাংলাদেশির উপস্থিত রয়েছেন বুঝতে পেরে সেখান থেকে সরে যান তাঁরা। এই খবব প্রকাশিত হওয়ার পরেই, কীভাবে আসাদুজ্জামান খান দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
এ নিয়ে বুধবার RAPID অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মুনীম ফেরদৌস জানান, তিনিও টিভিতে সেই খবর দেখেছেন। তিনি বলেন, ‘ প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ভারতে অবস্থান করার বিষয়ে আমি কিছু জানি না। আমাদের কাছে এ রকম কোনও তথ্য নেই। তিনি বৈধভাবে না অবৈধভাবে গিয়েছেন সেই সম্পর্কেও কোনও তথ্য নেই।’
আরো পড়ুন :- বাংলাদেশকে ঋণ পরিশোধ করতে চাপ দিচ্ছে চিন, বিশবাঁও জলে বাংলাদেশের একাধিক প্রকল্প
অন্যদিকে এদিনই পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) প্রধান অতিরিক্ত পুলিশ মহাপরিদর্শক শাহ আলম বলেন’, খবরে দেখেছি প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং বেশ কয়েকজনকে কলকাতার একটি পার্কে দেখা গিয়েছে। তাঁরা কী ভাবে সেখানে গিয়েছেন, সে বিষয়ে ইমিগ্রেশন পুলিশের কাছে কোনও তথ্য নেই। ইমিগ্রেশনে তাঁদের দেশত্যাগের কোনও তথ্য নেই। তাই ধরে নেওয়া হচ্ছে তাঁরা অবশ্যই অবৈধ পথে গিয়েছেন।’
#End