Bangla News Dunia , অমিত : কোচবিহার (Coochbehar) পঞ্চানন বর্মা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এজেন্সির মাধ্যমে নিয়োগ হওয়া ১৭ জন শিক্ষাকর্মীর বেতন আটকে দেওয়ায় সংশ্লিষ্ট মহলে প্রশ্ন উঠেছে। কেন শিক্ষাকর্মীদের (Panchanan Barma University) বেতন আটকে দেওয়া হল তা নিয়ে জোর আলোচনা শুরু হয়েছে। এই ডামাডোলের জেরে বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষাকর্মীদের অনেকেই সোমবার সেভাবে কাজ করেননি। এদিন তাঁরা দফায় দফায় কখনও দায়িত্বপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রারের সঙ্গে আবার কখনও ফিন্যান্স অফিসারের সঙ্গে দেখা করেন। শিক্ষাকর্মীরা কাজ না করায় বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষাকর্মী, অধ্যাপক এমনকি অফিসারদের বেতন আটকে যেতে পারে বলেও অনেকে মনে করছেন।
আরো পড়ুন:- ৯ বছর পর উচ্চ প্রাথমিকে ১৪০৫২ শিক্ষক নিয়োগ! DA, HRA, বেতন সহ মাসে কত পাবেন তাঁরা?
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রের খবর, এজেন্সির মাধ্যমে নিয়োগ হওয়া কর্মীদের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র এবং ২০১৫ সালের কর্মসমিতির বৈঠকের কাগজপত্র চেয়ে ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স অফিসারকে মেল করেছেন। এই কর্মীদের নিয়োগের বিষয়টি আদৌ সে সময়ের কর্মসমিতির বৈঠকে পাশ করা হয়েছিল কি না তা জানতে চাওয়া হয়েছে। ফিন্যান্স অফিসার তাপস মান্না বলেন, ‘উপাচার্য এজেন্সির মাধ্যমে নিয়োগ হওয়া শিক্ষাকর্মীদের কাগজপত্র চেয়েছেন। আমি সেইসব কাগজ চেয়ে রেজিস্ট্রারের কাছে মেল করে দিয়েছি। উপাচার্য এখনও পর্যন্ত ওই কর্মীদের বেতন মেটানোর নির্দেশ দেননি।’
এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সমস্যা যেন কিছুতেই মিটছে না। নিজেদের বিভিন্ন দাবির ভিত্তিতে শিক্ষাকর্মীরা প্রায় দু’মাস ধরে আন্দোলন চালিয়েছেন। এসব মেটাবার পর দিনকয়েক যেতে না যেতেই কী কারণে এবার বিশ্ববিদ্যালয়ে এজেন্সির মাধ্যমে নিয়োগ হওয়া শিক্ষাকর্মীদের বেতন আটকে দেওয়া হল তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের এজেন্সির মাধ্যমে নিয়োগ হওয়া শিক্ষাকর্মী সমীরকুমার সরকারের মতো অনেকেই সমস্যায় পড়েছেন। সারা বাংলা তৃণমূল শিক্ষাবন্ধু সমিতির জেলা সভাপতি জ্যোতির্ময় ভৌমিকের বক্তব্য, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের যাঁরা এজেন্সির কর্মী রয়েছেন, কোনও এক অজ্ঞাত কারণে তাঁদের বেতন বন্ধ করা হয়েছে। এর পিছনে কারণ কী সেটা স্পষ্ট হওয়া প্রয়োজন।’ ফোন না তোলায় ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য নিখিলচন্দ্র রায় এবং দায়িত্বপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার দিলীপ দেবনাথের কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।
#End