Bangla News Dunia , পল্লব : অবসরযাপন কিংবা অ্যাডভেঞ্চারের ক্ষেত্রে এ রাজ্যের জুড়ি মেলা ভার। আদিবাসী সম্প্রদায়ের আধিক্য থাকায় দেশের আর পাঁচটা রাজ্যের সঙ্গে এ রাজ্যের সামান্য পার্থক্য রয়েই গেছে। বাঙালির কাছে ঝাড়খণ্ড মানেই রাঁচি, দেওঘর, ঘাটশিলা, ধলভূমগড় কিংবা নেতারহাট ভ্রমণ। কিন্তু এ ছাড়াও এখানে রয়েছে আরেকটি আকর্ষণীয় বিষয়। আর বলা বাহুল্য তার আকর্ষণ বাঙালির কাছে বেড়ানোর থেকে কম কিছু নয়। বাঙালির দুর্গাপুজো মূলত পাঁচ দিনের। অবাঙালিদের নবরাত্রি হয় ৯ দিন ধরে। আর ঝাড়খণ্ডের দেবী পীঠে দুর্গাপুজো চলে টানা ১৬ দিন ধরে। তাহলেই বুঝতে পারছেন !
আরো পড়ুন:- ৯ বছর পর উচ্চ প্রাথমিকে ১৪০৫২ শিক্ষক নিয়োগ! DA, HRA, বেতন সহ মাসে কত পাবেন তাঁরা?
ঝাড়খণ্ডের লাতেহার জেলার চাঁদোয়ার উগ্রতারা মন্দিরে দুর্গাপুজো শুরু হয় আশ্বিন মাসের কৃষ্ণপক্ষ নবমী থেকে। এই নিয়মের পিছনে যুক্ত রয়েছে রামের লঙ্কা জয়ের কাহিনি। বিশ্বাস অনুযায়ী, লঙ্কা জয়ের জন্য শ্রী রামচন্দ্র বোধন কলস স্থাপন করে ১৬ দিন ধরে মা দুর্গার পুজো করেছিলেন। সেই রীতি মেনেই ঝাড়খণ্ডের রাজবাড়ি এবং প্রাচীন মন্দিরগুলিতে এতদিন ধরে পুজো করা হয়। আর এই প্রথা চলছে প্রায় পাঁচশো বছর ধরে। লাতেহারের চাঁদোয়াতে অবস্থিত মা উগ্রতারা নগর মন্দিরটি একটি সিদ্ধ শক্তিপীঠ। প্রাচীন মন্দিরের বয়স হাজার বছরেরও বেশি।
শারদীয়া নবরাত্রিতে এখানে ১৬ দিনের আচার পালিত হয়। অবশ্য মল মাস পড়লে পুজোর দিনসংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ৪৫। দেবী এখানে অষ্টভুজা। টোরির উগ্রতারা ছিন্নমস্তা মন্দির বা উগ্রতারা নগর ভগবতীর বর্তমান মন্দিরের বয়স প্রায় ৪০০ বছর। ষষ্ঠদশ শতাব্দীতে মন্দির নির্মাণ করেন টোরির রাজা। মন্দিরে পুজো দিতে আসতেন স্বয়ং রানি অহল্যা বাই #End