ধন্বন্তরি কালী

By Bangla news dunia Desk

Published on:

Kali

Bangla News Dunia, দীনেশ :-  আদিম সমাজের দেবতা গাছের তলায় নুড়ি রূপে, কখনও বা কোনও বৃক্ষ বা পশু-পাখি রূপে পূজিত হতেন। সেই আদিম মানুষের পুজোপদ্ধতি থেকেই পুজোর ক্রম ধীরে ধীরে পরিবর্তিত হয়েছে। বৃক্ষতল থেকে দেবতা মন্দিরে অধিষ্ঠিত হয়েছেন ‘গ্রাম্যদেবতা’ রূপে। গ্রামের মানুষের অভিভাবক তিনি। যাতায়াতের পথে, পারিবারিক উৎসব অনুষ্ঠানে, গ্রাম্য উৎসবে অর্থাৎ গ্রামের সুখ-দুঃখের সঙ্গে জড়িয়ে থাকেন তিনি। কিন্তু কী করে, সভ্যতার কোন লগ্নে এই গ্রামদেবতা বিশেষভাবে গৃহদেবতা রূপে অধিষ্ঠিত হলেন সেই ক্ষণটি কিন্তু খুব স্পষ্ট নয়। তবে সমাজচিন্তকগণ এ প্রসঙ্গে কিছু ধারণা প্রকাশ করেছেন।

এ প্রসঙ্গে বিনয় ঘোষ তাঁর, ‘বাংলার লোকসংস্কৃতির সমাজতত্ত্ব’ গ্রন্থে বলেছেন, ‘একটু লক্ষ করলেই দেখা যায় যে সমাজে যেমন মর্যাদার শ্রেণিভেদ ও স্তরভেদ আছে, দেবতাদের মধ্যেও তেমনি মর্যাদার ভেদ আছে। গ্রামদেবতা ও গৃহদেবতার মধ্যেও বিকাশের একটা ধারা আছে এবং ধারাটা মনে হয় গ্রামদেবতা থেকে গৃহদেবতার বিকাশের ধারা। সমাজে যেমন সমষ্টির পরে ব্যক্তির চেতনার বিকাশ, এও কতকটা সেইরকম। সমাজে যখন রাজরাজড়া জমিদার-সামন্তদের আবির্ভাব হল, তখন দেবতারা কেউ কেউ ওপরের স্তরের গৃহদেবতার আসনে প্রতিষ্ঠিত হলেন। দরিদ্রের গৃহের লক্ষ্মীর পুতুল বা পট ব্যর্থ কামনার প্রতিমূর্তিরূপে বিরাজমান, তাঁকে ঠিক (অথবা অনুরূপ কোনও দেবদেবীকে) এই শ্রেণির গৃহদেবতার পর্যায়ে ফেলা যায় না। কিন্তু একই শিব যদি গ্রাম্যদেবতা হন এবং জমিদারগৃহের গৃহদেবতা হন তাহলে দুই দেবতার মর্যাদার তফাত হয়ে যায়। শিবরাত্রিতে গ্রামদেবতার মাথায় সকলেই জল ঢালেন, পথের ধারের দরিদ্রতম শিবও বাদ যান না- কিন্তু জমিদারের গৃহদেবতা শিবের পুজোয় বিরাট জাঁকজমক হয়, বিশাল মেলা বসে, প্রজা-ভোজন হয়, রামায়ণ গান, যাত্রা কথকতা হয় এবং সেই উপলক্ষ্যে হাজার হাজার লোকের সমাবেশ হয় উৎসব প্রাঙ্গণে। শিবরাত্রি বা এরকম কোনও ধর্মীয় উৎসব উপলক্ষ্য করে জমিদার একটা বড় সামাজিক দায়িত্ব পালন করেন। সেই দায়িত্ব হল, হাজার হাজার লোকের আনন্দ-প্রীতি-সমাবেশের ভিতর দিয়ে সামাজিক সমষ্টিবোধ, সংহতিবোধ তিনি পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেন, অবশ্য তাঁরই উদারতা ও দাক্ষিণাত্যের ছায়াতলে। তাতে যে সমাজ ব্যবস্থার উপর তাঁর প্রতিপত্তি প্রতিষ্ঠিত তার স্তম্ভগুলিতে ফাটল ধরে না। আর স্তম্ভগুলোই যেখানে অচল-অটল ছিল, সেখানে ফাটল ধরার সমস্যাও সহজে দেখা দিত না। উৎসব অনুষ্ঠানে অনায়াসে এই সামাজিক কর্তব্য পালিত হত।’

আরো পড়ুন:- এবার SIM কার্ড ছাড়াই করা যাবে ফোন, BSNL-র পদক্ষেপে সিঁদুরে মেঘ দেখছে Jio, Airtel

এখানে বিনয় ঘোষ দেখিয়েছেন, কী করে জমিদার বা ধনীর  আনুকূল্যে গ্রামদেবতা সমৃদ্ধ গৃহদেবতায় আরাধিত হচ্ছেন। কিন্তু এ হল মধ্যযুগের পরিবর্তন। এই পরিবর্তনের ধারাটি আবার যুগের চলনের সঙ্গে বিপরীত রূপ পরিগ্রহ করেছে। গৃহদেবতাও অর্থনৈতিক কারণে আর গৃহের সমৃদ্ধিকে, আদর-আপ্যায়নকে ধরে রাখতে সক্ষম হচ্ছেন না। তিনি এখন অর্থবৈষম্য পরিত্যাগ করে জনগণমানসে বিচিত্ররূপে স্থান গ্রহণ করেছেন। বিনয় ঘোষ পুনরায় এই পরিবর্তন সম্বন্ধে বলছেন, ‘আধুনিক সমাজে ধর্মোৎসবের রূপ পরিবর্তিত হচ্ছে। এই পরিবর্তনের ধারা গ্রাম্যসমাজ ও নাগরিক সমাজের ধর্মোৎসব লক্ষ করলে পরিষ্কার বোঝা যায়। উভয় সমাজেই অবশ্য গৃহদেবতারা গণদেবতায় পর্যবসিত হচ্ছেন। তবে গ্রামে এখনও জমিদারদের মধ্যে গৃহদেবতার প্রভাব প্রতিপত্তি যথেষ্ট আছে এবং তাঁকে কেন্দ্র করে জমিদারদের পুরাতন জীর্ণ অট্টালিকার প্রাঙ্গণে উৎসব-সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়, মেলা বসে। কিন্তু নাগরিক সমাজ অনেক বেশি দ্রুত পরিবর্তনশীল এবং সেখানে প্রত্যক্ষ জনসংঘাত অনেক প্রবল। তার ফলে ধর্মোৎসবের রূপ নাগরিক সমাজে অনেক বদলে গেছে। কলকাতা শহরের কথাই ধরা যাক। অষ্টাদশ-উনবিংশ শতকে কী রকম সমারোহে কলকাতার ধনী বাবুদের গৃহে দোল-দুর্গোৎসব অনুষ্ঠিত হত, … এমন কি বর্তমান বিংশ শতকের দ্বিতীয়-তৃতীয় দশকেও,…আমরা দেখেছি কলকাতার অধিকাংশ দোল-দুর্গোৎসব মহাসমারোহে অনুষ্ঠিত হত বাবুদের গৃহে। বারোয়ারি পুজো অষ্টাদশ শতকের শেষে প্রবর্তিত হলেও, তার জাঁকজমক ত্রিশ-চল্লিশ বছর আগে পর্যন্ত ধনীদের সমারোহকে হার মানাতে পারেনি এবং উৎসব উপলক্ষ্যে সাধারণ লোকের আকর্ষণও ছিল তখন এইসব অভিজাত পরিবারের গৃহের দিকে। এই ধারার বিরাট পরিবর্তন হয়ে গেছে গত পনের-কুড়ি বছরের মধ্যে। গৃহ-উৎসব (প্রধানত শহরের ধনীদের) এখন একেবারে ম্লান হয়ে গেছে এবং তার পরিবর্তে উৎসব হয়েছে বারোয়ারি পুজোর গণ-উৎসব। ধনী ব্যক্তির প্রাধান্য নেই সেখানে। কলকাতার মতো জনবহুল শহরে এই সর্বজনীন পুজো ক্রমে জনসাধারণের সাংস্কৃতিক উৎসবের প্রতিযোগিতায় পরিণত হচ্ছে পাড়ায় পাড়ায়। তার ফলে যে কোনও পাড়ার ধনীগৃহের সাতপুরুষের পুজো আজকে শুধু পুরোহিতের যান্ত্রিক ঘণ্টানাড়ায় পরিণত হয়েছে। তার প্রাঙ্গণ জনশূন্য, বিষণ্ণ ও পরিত্যক্ত। অভিজাত গৃহদেবতা আজ সর্বজনীন গণদেবতায় পরিণত হচ্ছেন।’ (বিনয় ঘোষ, বাংলার লোকসংস্কৃতির সমাজতত্ত্ব , পৃ ঃ১৪২-১৪৩, সিগনেট বুকশপ ,  ১ম সং , ১৩৮৬।)

দেবীপূজা এখন আগত প্রায়। মণ্ডপে মণ্ডপে বারোয়ারি পুজো যেমন  অনুষ্ঠিত হবে ঠিক তেমনই দেবী পূজিত হবেন গৃহাঙ্গনেও। গঙ্গা নদীর একটি স্রোতকে বলা হয় আদি গঙ্গা। যে গঙ্গার নাব্যতা এতটাই ছিল যে ব্যবসার জন্য ছোট ছোট নৌকা আর বজরার সারি জলপথ বেয়ে এই পথ দিয়েই সমুদ্রে গিয়ে পড়ত। আর এই পথই ছিল গঙ্গাসাগর যাওয়ার পথ। একটা প্রবাদবাক্য আছে, সব তীর্থ বারবার, গঙ্গাসাগর একবার- কেন একবার? এর কারণ কালীঘাটের মন্দিরের পাশ দিয়ে, টালিনালা আদিগঙ্গা রূপে গড়িয়া হয়ে প্রবাহিত হয়ে একেবারে বিদ্যেধরী নদীতে গিয়ে মিশেছিল। এই পথ দিয়েই শ্রীচৈতন্যদব নীলাচলে গিয়েছিলেন। এই প্রবাহের দুই পাশে গভীর গহন জঙ্গল। আর সেই জঙ্গলের মধ্যে কাপালিকদের বাস। তন্ত্রসাধনার এক গুরুত্বপূর্ণ স্থান ছিল এটি। ছাগবলি থেকে নরবলি– সবই এখানে হত। তাই টালিগঞ্জের করুণাময়ী কালী মন্দির থেকে শুরু করে এই নালার ধারে বোড়ালে ভুবনেশ্বরী দেবীর মন্দির, মহামায়াতলায় দেবী মহামায়া, রাজপুরে বিপদতারিণী দেবী, বারুইপুরে, দেবী শিবানী থেকে বহরু হয়ে মজিলপুর-জয়নগর পর্যন্ত এক একজন দেবী আরাধিত হয়ে আসছেন। এঁদের প্রত্যেকের অধিষ্ঠানের এক-একটি কাহিনীর দেখা পাওয়া যায়। তাদের মধ্যে  একটির কথা আমরা আজ আলোচনা করব।

মজে যাওয়া আদি গঙ্গা নদীর তীরে গড়ে উঠেছিল মজিলপুর।  আজকে আমরা মোয়া বিখ্যাত জয়নগর আর মজিলপুরের আধ্যাত্মিক ইতিহাস নিয়ে আলোচনা করব। এই অঞ্চলেও নদী প্রবাহের ধারে ধারে গড়ে উঠেছিল তন্ত্রসাধনার ক্ষেত্র। তখন অষ্টাদশ শতাব্দীর প্রথম ভাগ, বা সপ্তদশ শতাব্দীর শেষ অংশ। এই অঞ্চলে তখন সমৃদ্ধ বণিকের বাস ছিল। প্রবাহিত আদি গঙ্গার পাশে একটি শ্মশান ছিল। একদিন নেতরা অঞ্চল থেকে স্বামী ভৈরবানন্দ নামে এক কাপালিক সন্ন্যাসী মজিলপুরের শ্মশানে এসে উপস্থিত হলেন। তিনি শ্মশানের স্থানটি দেখে বুঝলেন সেটি তন্ত্রসাধনার অত্যন্ত প্রকৃষ্ট একটি স্থান। শ্মশানের সম্মুখে টলটলে জলের গভীর পুকুর। তাঁর এই নির্জন স্থানটি দেখে খুব পছন্দ হল। উপরন্তু সাধক ভৈরবানন্দ স্থানটি সাধনার অনুকূল জেনে সেই শ্মশানেই কুটির তৈরি করে সাধনায় বসলেন। এইভাবে দিন অতিবাহিত হচ্ছিল। হঠাৎ এক রাত্রে স্বামী ভৈরবানন্দ স্বপ্ন দেখলেন সামনের পদ্মপুকুর নামে সেই কাকচক্ষু জলের পুকুরে এক অপার্থিব দৈবীশক্তি দেবীসত্তা লুক্কায়িত আছে। কে জানে তাঁকে সেই বস্তুটি আহরণের কথা বলল। তিনি ঠিক শুনলেন তো? সাধক নিদ্রাভঙ্গে যখন বুঝলেন স্বপ্নে পাওয়া ইঙ্গিতে কিছু সত্যতা লুকিয়ে আছে তখন তিনি সেই পুকুরের জলে ঝাঁপ দিলেন। কিছুক্ষণের মধ্যেই তাঁর হাতে এল কালো পাথরের টুকরো। সেই পাথর কিন্তু সাধারণ নয়। কারণ, তাঁর উপর নির্মিত এক  চতুর্ভুজা, মুণ্ডমালাধারিণী দেবীমূর্তি! তিনি সেই মূর্তিটি নিজের কুটিরে এনে পুজো অর্চনা করতে শুরু করলেন। এই মূর্তি থেকেই  এ অঞ্চলের বিখ্যাত দেবী দেবী ধন্বন্তরির আরাধনার সূচনা। কেন দেবী ধন্বন্তরি? দেবতাদের চিকিৎসক হলেন ধন্বন্তরি। যিনি দেবাসুরের সমুস্রমন্থন থেকে উঠেছিলেন। এই দেবীও চিকিৎসকের কাজ করেন – তাই দেবীর নাম ধন্বন্তরি। শোনা যায় স্বামী ভৈরবানন্দ একসময় স্বয়ং শিবের কাছে স্বপ্নে দৈব ওষুধ লাভ করেছিলেন। কিন্তু তিনি নিজের সাধন উপলব্ধির জন্য সেই স্থানে আসন পেতেছিলেন। কোনও দেবী প্রতিষ্ঠা বা কোনও ওষুধ বিতরণ তাঁর উদ্দেশ্য নয়।  তিনি সঠিক অর্থেই সাধক ছিলেন।

এই সময় মজিলপুরের স্থানীয় সমৃদ্ধ ব্যক্তি শ্রীরাজেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী স্বামী ভৈরবানন্দের সাহচর্যে এসে মুগ্ধ হন এবং তাঁর শিষ্যত্ব গ্রহণ করেন। শিষ্য রূপে রাজেন্দ্রনাথকে সর্ববিষয়ে ভরসার যোগ্য মনে করে স্বামী ভৈরবানন্দ তাঁকে মায়ের সব দায়িত্ব প্রদান করে সেই স্থান ত্যাগ করে চলে যান চিরকালের মতো। সেই থেকে বর্তমান অবধি রাজেন্দ্রনাথের পরিবার এই দেবীর সেবা করে আসছেন। এক দেবী  এলেন সন্ন্যাসী কুটিয়ায়, তাঁর পূজা গ্রহণের জন্য। কিন্তু তিনি হয়ে গেলেন পারিবারিক বা গৃহদেবী। কিন্তু এতেই শেষ হল না, পারিবারিক অধিকারে পূজিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দেবীর লোকায়ত রূপ তাঁকে স্থানীয় দেবতায় পরিণত করল। তিনি কোনও গৃহাঙ্গনে আবদ্ধ নন। সন্ন্যাসীর সেই শ্মশানের কুটিয়াতেই তাঁর মন্দির। কিন্তু তিনি একটি বিশেষ পরিবারে অধীনে, আবার সবভাবে সেই পরিবারের নিয়ন্ত্রণকারিণীও বটে।

রাজেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীও গুরুর মতো নিষ্ঠাবান সাধক ছিলেন। দেবীপুজো করতে করতে তিনিও স্বপ্নাদেশ পান এবং পুকুরে ভেসে আসে একটি নিমকাঠের গুঁড়ি, তা থেকে প্রস্তুত করেন ধন্বন্তরি কালী মায়ের এক দারুমূর্তি। সন্ন্যাসীর পাওয়া পাথরের মূর্তিকে অভ্যন্তরে রেখে এই দারুমূর্তির পুজো করা হয়। এই দারুমূর্তিও কিন্তু প্রায় তিনশো বছরের প্রাচীন। দেবী স্বপ্নে যে ওষুধ প্রদান করেছিলেন স্থানীয় মানুষ মনে করেন তা বাতজনিত ব্যথার জন্য অব্যর্থ। নিয়ম মেনে সেই ওষুধ ব্যবহার করলে অবশ্যই ফললাভ করা যায়। সকাল দশটা নাগাদ উপস্থিত হয়েছিলাম ধন্বন্তরি মায়ের মন্দিরে। দেখলাম মন্দিরের সামনের পুকুর, যা বেশ গভীর আর গভীরতা তার পার থেকেই শুরু হয়েছে বলে বোধ হয়। ঢালু অংশ একেবারেই নেই বললেই চলে। একটি পুরাতন খেজুর গাছের গুঁড়ি পড়ে আছে তাকে ধরে স্নানার্থীরা জলে নামতেই হাঁটু ছাড়িয়ে জল। একটা ডুব দিয়েই মন্দিরের পাশে একটি ঘরে যাচ্ছেন সকলে। যিনি ওষুধ দিচ্ছেন তিনি জানালেন স্নান না করে এলেও হবে। কিন্তু হ্যোমিওপ্যাথি ওষুধের মতো পুরিয়াগুলো খেতে হবে নিয়ম করে। চারটি পুরিয়া, তিনদিন অন্তর খেতে হবে। পেঁয়াজ, রসুন, মাছ, মাংস, কাঁকড়া কিছুতেই খাওয়া যাবে না। আর যখন খাওয়া চলবে তখন দই, চিঁড়ে, কলা মোটেই খাওয়া যাবে না। নিজেকে একদম সুস্থ মনে করলে এই মন্দিরে এসে দেবীকে দই, চিঁড়ে আর কলা দিয়ে পুজো দেওয়ার পরই তা খেতে পারা যাবে। যিনি ওষুধ দিচ্ছিলেন তিনি জানালেন, এখানে দেবী যেহেতু মা ধন্বন্তরি তাই কেবল বাতে জন্য নয়, এই ওষুধ সর্বরোগহর।

মজিলপুরের মা ধন্বন্তরির বিগ্রহটি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ দারু বিগ্রহ। অপরূপ সেই বিগ্রহটি। শুধু তাই নয় এই মন্দিরের বিগ্রহ বছরের একটি সময় নানা বেশ ধারণ করেন। এই উপলক্ষ্যে স্থানীয় মেলা বসে। যে মেলার নাম বেশের মেলা। বেশগুলি সামনের একটি বোর্ড এর মধ্যে পরপর লেখা ছিল। সেগুলি পাঠকদের জন্য তুলে ধরলাম। প্রথম  রূপ হল, কোওমারী, বিপদতারিণী, ভুবনেশ্বরী, গণেশ জননী, কৃষ্ণকালী, বারাহী, নারসিংহী, সঙ্কটাকালী, জগদ্ধাত্রী, জাহ্নবী, অন্নপূর্ণা, কালীয়দমন, ইন্দ্রাণী, দক্ষিণাকালী ও ষোড়শী। দেবীর এত রূপের মধ্যে এই রূপগুলিই কেন নির্বাচন করা হয়েছিল তার কিন্তু কোনেও সদুত্তর পাইনি। তবে এই প্রথা অনেক পরবর্তীকালের এবং কৃষ্ণকালী ও কালীয়দমন রূপ দুটি সংযোজিত হতে দেখে মনে হয় কখনও বৈষ্ণব প্রভাব এই শাক্তধারার মধ্যে প্রবেশ করেছিল। তা পারিবারিক বা স্থানীয় দুই কারণেই ঘটা সম্ভব। সব নিয়ে মজিলপুরের মা ধন্বন্তরি অত্যন্ত উল্লেখযোগ্য এক গৃহদেবী।

আরো পড়ুন:- বেকার ছেলে মেয়ে সবাইকে প্রতিমাসে ৩০০০ টাকা দিচ্ছে কেন্দ্র সরকার, কিভাবে ই শ্রম কার্ড অনলাইন আবেদন করবেন?

#END

এই রকম খবর পেতে দয়া করে আমাদের চ্যানেল ফলো করুন

আরো খবর দেখুন :- বিনা সুদে 5 লাখ টাকা লোন দিচ্ছে কেন্দ্র সরকার। কিভাবে আবেদন করবেন জেনে নিন

আরো খবর দেখুন :- জানেন ভারতের পূর্বনাম কি ছিল ? কিভাবে এল আর্যরা ? জানুন অজানা ইতিহাস

আরো খবর দেখুন : শরীরের বিভিন্ন অংশে ব্যাথার সমস্যায় ভুগছেন ? দ্রুত মুক্তি দেবে হোমিওপ্যাথি

 

Bangla news dunia Desk

মন্তব্য করুন