Bangla News Dunia , অমিত : সূচনা হয়ে গিয়েছে দেবীপক্ষের। আর কিছুদিনের মধ্যেই বাঙালির সবচেয়ে বড় উৎসব দুর্গা পুজোতে মেতে উঠবে গোটা রাজ্যবাসী। কিন্তু রাজ্যে ক্রমাগত অনাহার এবং পরিযায়ী শ্রমিকের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এমনটাই জানিয়ে এই উৎসবের আবহেও রাজ্যের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (CV Ananda Bose)। বুধবার মহালয়ার পাশাপাশি ছিল গান্ধিজির জন্মদিনও। আর এই গান্ধি জয়ন্তীর (Gandhi Jayanti) দিনেও রাজ্যকে (West Bengal government) বিঁধলেন বোস। যদিও রাজ্যপালের মন্তব্যের পরই পালটা আক্রমণ করতে ছাড়েনি তৃণমূলও।
বুধবার গান্ধি জয়ন্তীতে ব্যারাকপুর গান্ধিঘাটে আসেন রাজ্যপাল। সেখানেই তিনি বলেন, ‘এমন এক পবিত্র দিনে গান্ধিজিকে শ্রদ্ধা জানাচ্ছি। কিন্তু এই দিনে আমাদের আত্মসমালোচনা করা উচিত। এটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক যে বাংলার মাটিতে অনাহার এবং পরিযায়ী শ্রমিকের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ার ঘটনা সামনে আসছে। কর্মসংস্থান কমছে। কিন্তু গান্ধিজি এমনটা চাননি। জাতির জনক বলেছিলেন, কোনও সভ্য সমাজে এই অনাহারের ঘটনা ঘটতে পারে না। তাই রাজ্য সরকারের এই বিষয়গুলি দেখা উচিত।’
আরো পড়ুন:- ৯ বছর পর উচ্চ প্রাথমিকে ১৪০৫২ শিক্ষক নিয়োগ! DA, HRA, বেতন সহ মাসে কত পাবেন তাঁরা?
অন্যদিকে রাজ্যপালের এই মন্তব্যের পরই ফের বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। কারণ রাজ্য সরকারের কাজগুলি পরপর স্বীকৃতি পাচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে। সেখানে রাজ্যকেই দুষলেন রাজ্যপাল। যদিও বোসের মন্তব্যের কিছুক্ষণ পরই পালটা প্রতিক্রিয়া দেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতা অরূপ চক্রবর্তী (Arup Chakraborty)। তিনি বলেন, ‘মহাত্মা গান্ধি আজ বেঁচে থাকলে কি চাইতেন যে মনরেগা প্রকল্পের টাকা কেন্দ্রীয় সরকার আটকে দেবে? আড়াই বছর কাজ করার পরও শ্রমিকরা টাকা পাচ্ছেন না। এই দালাল রাজ্যপালকে প্রশ্ন করুন, গান্ধি মূর্তিতে মালা দিয়েছেন সেটা ভালো কথা। কিন্তু গডসের জন্মদিনেও কি তিনি তাঁর গলায় মালা দেবেন? গান্ধিজি থাকলে তিনি কি চাইতেন যে রাজ্যপাল তাঁর এক কন্যাসম মহিলাকে যৌন নির্যাতন করবেন?’
যদিও রাজ্য সরকারের সঙ্গে রাজ্যপালের সংঘাত যদিও নতুন নয়। শিক্ষা হোক বা স্বাস্থ্য সবক্ষেত্রেই সংঘাত লেগে রয়েছে উভয় পক্ষের। এমনকি মামলা গিয়েছে সুপ্রিম কোর্টেও। যদিও সেখানে সুপ্রিম ভর্ৎসনার মুখেই পড়তে হয়েছে রাজ্যপালকে। এবার রাজ্যের পরিস্থিতি নিয়ে মন্তব্য করে ফের বিতর্কে জড়ালেন রাজ্যপাল।
#End