Bangla News Dunia , অমিত : আর জি কর হাসপাতালে মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ- খুনের ঘটনার জেরে এখনও উত্তাল শহর- শহরতলি। জেলায় জেলায় এখনও চলছে মিছিল এবং বিভন্ন প্রতিবাদ কর্মসূচি। রাত দখল, ভোর দখল, রাস্তা দখল থেকে মহামিছিল এখনও চলছে। সুবিচার ও নিরাপত্তার দাবিতে, প্রতিবাদে শামিল হয়েছেন বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালের জুনিয়র ডাক্তাররা। ফের কর্মবিরতিতে রয়েছেন তাঁরা। গর্জে উঠেছে দেশবাসী। এমনকী প্রতিবাদে সরব হয়েছেন প্রবাসীরাও। ৩১ বছর বয়সী মহিলা চিকিৎসকের মৃত্যুতে সরব সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষেরা।
শুরু থেকেই প্রতিবাদে সামিল হয়েছেন বিনোদন জগতের শিল্পী ও কলাকুশলীরাও। শুধু টলিউড না, সরব হয় বলিউডও। তবে অন্যান্য বহু ইন্ডাস্ট্রির মতো এই ঘটনার অনেকটাই প্রভাব পড়েছে টলিপাড়ায়। সোশ্যাল মিডিয়ায় বা পথে নেমে ‘জাস্টিস’ চাওয়াতেই শুধু থেমে নেই স্টুডিওপাড়া। স্থগিত রয়েছে একাধিক ছবির টিজার, ট্রেলার মুক্তি। ১৪ অগাস্ট ‘রাত দখল’ কর্মসূচি থেকেই একেবারে সক্রিয়ভাবে প্রতিবাদে সামিল হতে দেখা যাচ্ছে সুদীপ্তা চক্রবর্তীকে। বার বার বিভিন্ন প্রতিবাদী মিছিলেও দেখা গিয়েছে অভিনেত্রীকে। এবার মজার ছলে নিন্দুকদের যোগ্য জবাব দিলেন সুদীপ্তা।
আরো পড়ুন:- ৯ বছর পর উচ্চ প্রাথমিকে ১৪০৫২ শিক্ষক নিয়োগ! DA, HRA, বেতন সহ মাসে কত পাবেন তাঁরা?
এক ব্যক্তি সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখেন, মুখ্যমন্ত্রীর বিরোধিতা যে তারকারা করেছেন, তাঁদের যেন কোনও পুজোর উদ্বোধন বা অনুষ্ঠানে না ডাকা হয়। একগুচ্ছ তারকার নাম সামনে আনেন সেই ব্যক্তি, যারা সক্রিয়ভাবে প্রতিবাদে সামিল হয়েছেন। সে তালিকায় নাম রয়েছে সুদীপ্তা চক্রবর্তীরও। ফেসবুকে সেই ছবি শেয়ার করে অভিনেত্রী লেখেন, “এটা কী করলেন ছোট ছোট ভাইবোনেরা? কয়েকদিন ধরে একটু না হয় প্রতিবাদ প্রতিবাদ খেলছি আমরা ক’জন। সামনে আমাদের সিনেমা রিলিজ আর নাটকের শো আছে কয়েকটা। তাই এই সুযোগে একটু দাঁও মেরে নিচ্ছি আর কি। এটুকুও করতে দেবেন না? এমনিতেই আমাদের সিনেমা কেউ দেখে না, নাটকে টিকিট বিক্রি হয় না, গান শোনে না কেউ। মিছিলে হেঁটে একটু পিআর টা করে নিচ্ছি কয়েকদিন। এত গায়ে লাগছে আপনাদের?”
ব্যঙ্গ করে সুদীপ্তা আরও লেখেন, “সারাবছর কেউ কাজ দেয় না। কোথাও দেখা যায় না আমাদের। দুটো পুজো উদ্বোধন আর পুজোয় অনুষ্ঠান করে গোটা বছর ধরে সংসার টা টানি। এবার যদি আমাদের পরিবার গুলো না খেতে পেয়ে মরে, তার দায়িত্ব কে নেবে বলুন দেখি? প্রতিবাদ প্রতিবাদ তো আপনারাও খেলছেন টুকটাক। আমরা কি কিছু বলেছি তখন? আপনারা এত অবুঝ কেন? কেন? কেন? ধুর, ভাল্লাগেনা। কান্না পাচ্ছে। খুব ভয় ও পেয়েছি। বাবা গো…বাঁচাও! জুজু আসছে। ভ্যাঁঅ্যাঁঅ্যাঁ!!!”
সুদীপ্তার একটি প্রতিবাদী পোস্টের কমেন্ট বক্সে এক ব্যক্তি লেখেন, “সুদীপ্তা কি ভোটে নামবে মাকুদের (সিপিএম) জন্য?” এর অভিনেত্রীর পাল্টা জবাব, “এ বাবা। বুঝে গেলেন কী করে? কী মুশকিল হয়েছে না। কী বলব! সব প্ল্যান আগে থেকে মানুষ বুঝে যাচ্ছে। ধুর! দেশটা বুদ্ধিমান লোকে ভরে গেল।” এরপর মজা করে তিনি আরও লেখেন, “হ্যাঁ, ভোটে দাঁড়াচ্ছি। সিট নিয়ে দরাদরি চলছে। ফাইনাল হলেই ঘোষণা করছি। সঙ্গে থাকবেন।” যদিও কিছুজন কটাক্ষ করলেও, অভিনেত্রীকে সমর্থন করেছেন বেশীরভাগ নেটিজেন। এমনকী নিন্দুকদের একহাত নিয়েছেন তাঁরাই।
প্রসঙ্গত, প্রতিবাদের মাধ্যমেই এবছর সূচনা হয় দেবীপক্ষের। আরজি কর কাণ্ডের জেরে এক অন্য মহালয়ার ভোর দেখল রাজ্যবাসী। বিচারের দাবিতে ৫৪ দিন পরেও রাজপথে নামল নাগরিক সমাজ। বৃষ্টিকে উপেক্ষা করে ভোরে জায়গায় জায়গায় মহালয়া চালিয়ে স্লোগান ওঠে, ‘বিচার না হলে, উৎসবে ফিরছি না’, ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’, ‘জাস্টিস ফর আর জি কর’। রাতে ধুনুচি নাচ, পথ নাটিকার মাধ্যমেও হয় প্রতিবাদ। মহালয়ার দিন মহামিছিলের ডাক দেন জুনিয়র ডাক্তাররা। সেই মিছিলেও সামিল হন হাজার হাজার মানুষ।
#End