Bangla News Dunia , দীনেশ :- ইজরায়েলের হামলায় মৃত্যু হয়েছে হিজবুল্লাহ প্রধান হাসান নাসরুল্লাহর। এটা মোটামুটি এখন সবাই জানেন। কিন্তু ইজরায়েল কীভাবে জানল যে নাসরুল্লাহ কোথায়? একেবারে বেছে বেছে সেই এলাকাতেই বা হামলা চালাল কীভাবে? এই প্রতিবেদনে আমরা তার ব্যাখ্যা দেব। তাই প্রতিবেদনটি শেষ পর্যন্ত পড়ুন। সত্যিই অবাক করার মতো তথ্য পাবেন।
গত ২০ বছরে নাসরুল্লাহকে প্রকাশ্যে দেখাই যায়নি। এমন একজনকে হত্যা করা যে চারটিখান কথা নয়, তা বলাই বাহুল্য। জানা যাচ্ছে, এর পিছনে মূল মাথা ইজরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা ও তাদের এজেন্টরা। গুপ্তচরের মতো লুকিয়ে, দিনের পর দিন গোয়েন্দাগিরি করে তবেই নাসরুল্লাহর অবস্থান জানা যায়।
২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, দেহি- লেবানন
এর আগে প্রায় ১২ দিন ধরেই অশান্ত পরিবেশ। দেশের নানা স্থানে আকাশ থেকে বোমাবৃষ্টি হচ্ছে। হঠাতই দুপুর দেড়টা নাগাদ কেঁপে উঠল দক্ষিণ বৈরুতের গ্রামীণ এলাকা। আকাশ কাঁপিয়ে ‘সোঁ-সোঁ’ শব্দে ধেয়ে এল ইজরায়েলের F-35 যুদ্ধবিমান। সেই শব্দ খুব দুঁদে অপরাধী, জঙ্গিকেও কাঁদিয়ে ছেড়ে দেবে। আর সেই বিমান থেকেই পড়তে শুরু করল টন-টন বোমা। পুরো এলাকাটা কালো ধোঁয়া আর আগুনে ঢেকে গেল। নিমেষে মাটিতে গুঁড়িয়ে মিশিয়ে গেল একের পর এক বিল্ডিং।
আরো পড়ুন :- এবার পাক ক্রিকেটারদের জন্য ফতোয়া জারি করলো পাক বোর্ড !
হাসান নাসরুল্লাহ- মৃত
এই বিশাল বিমান হামলার পরই খবর আসে, হাসান নাসরুল্লাহ, হিজবুল্লাহদের প্রধানের মৃত্যু হয়েছে। এই খবর প্রকাশ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই যেন শোরগোল পড়ে যায় গোটা বিশ্বজুড়ে।
লেবাননের হিজবুল্লাহদের প্রদান এবং ইজরায়েলের এক নম্বর শত্রু ছিলেন এই হাসান নাসরুল্লাহ। এই একটি ব্য়ক্তিই প্রায় ৩০ বছর ধরে হিজবুল্লাহ চালিয়ে এসেছেন।
কীভাবে হাসান নাসরুল্লাহ-র লোকেশন জানা গেল?
নাসরুল্লাহ-র মতো ওয়ান্টেড লোকেরা বারবার লোকেশন চেঞ্জ করে। যাতে কেউ তাদের অবস্থান জানতে না পারে। কিন্তু তাতেও শেষ রক্ষা হল না।
ইজরায়েল কীভাবে জানল যে ঠিক বেলা ১.৩০-এ নাসরুল্লাহ দেহিতে ইজরায়েলের সদর দফতরে আসবেন? এর কৃতিত্ব নিঃসন্দেহে গোয়েন্দা এজেন্টদের দিতেই হবে।
আরো পড়ুন :- বাংলাদেশকে ঋণ পরিশোধ করতে চাপ দিচ্ছে চিন, বিশবাঁও জলে বাংলাদেশের একাধিক প্রকল্প
ইরানের এজেন্টের বুদ্ধি?
ফরাসি সংবাদপত্র লে প্যারিসিয়েনের মতে, ইরানের এক গোয়েন্দার মারফতই ইজরায়েলের কাছে খবর পৌঁছায়। এই এজেন্ট ইরানের হলেও তিনি ইজরায়েলের হয়ে কাজ করছিলেন।
এই একটি লোকের তথ্যেই ইজরায়েলের ৩০ বছরের প্রচেষ্টা সফল হল।
এত তাড়াতাড়ি অ্যাটাক
ইজরায়েল তৈরিই ছিল। ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু সেই সময় রাষ্ট্রসঙ্ঘের সফরে ছিলেন। তাঁকে বিষয়টা জানানো হয়। অন্যদিকে ইজরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনীও সবুজ সংকেত দেয়। সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয়ে যায়, ‘অপারেশন নিউ অর্ডার’।
F-35 এবং F-15I যুদ্ধবিমান
এককথায় বললে, আধুনিক যুগে যদি সবচেয়ে শক্তিশালী ও অত্যাধুনিক ফাইটার জেটের তালিকা করা হয়, তাহলে এগুলির না আসবে। আর সেটা ব্যবহার করেই হামলা চালায় ইজরায়েল।
#End