Bangla News Dunia , অমিত : ২ হাজার টাকার নোট নিয়ে বড় আপডেট। তথ্য সামনে আনল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া। ২ হাজার টাকার নোট বাতিল হয়েছে প্রায় দেড় বছর। তবে আরবিআই জানাল, এখনও ৭ হাজার কোটি টাকারও বেশি মূল্যের নোট ফিরে আসেনি। অনেক মানুষ এই নোট ধরে রেখেছে। পয়লা অক্টোবরই এই তথ্য প্রকাশ করেছে RBI। তাদের তরফে আরও জানানো হয়, ২ হাজার টাকার নোটের ৯৮ শতাংশ ফিরে এসেছে।
পিটিআই-এ প্রকাশ রিজার্ভ ব্যাঙ্ক জানিয়েছে, সাধারণ মানুষের কাছে এখনও ৭,১১৭ কোটি টাকার গোলাপী নোট রয়েছে। ২ হাজার টাকার নোট বাজার থেকে তুলে নেওয়া হবে এই ঘোষণার পর দ্রুত তা ব্যাঙ্কে জমা পড়েছিল। তবে সময় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে নোট জমা পড়ার গতিও কমেছে। গত বছর ২০২৩ সালের মে মাসে যখন এই নোট বন্ধ করার ঘোষণা হয় তখন বাজারে ৩,৫৬ লক্ষ কোটি টাকার নোট ছিল। ২০২৩ সালের ডিসেম্বরের শেষ পর্যন্ত সংখ্যাটা কমে হয় ৯,৩৩০ কোটি টাকা।
আরো পড়ুন:- ৯ বছর পর উচ্চ প্রাথমিকে ১৪০৫২ শিক্ষক নিয়োগ! DA, HRA, বেতন সহ মাসে কত পাবেন তাঁরা?
কখন এবং কেন ২০০০ টাকার নোট বন্ধ করা হয়েছিল?
ক্লিন নোট নীতির অধীনে, ১৯ মে ২০২৩-এ দেশে প্রচলিত থাকা সর্বোচ্চ ২ হাজার টাকার নোট প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তারপর কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক স্থানীয় ব্যাঙ্ক এবং ১৯টি আরবিআই আঞ্চলিক অফিসে এই নোটগুলি ফেরত এবং পরিবর্ত নোট নেওয়ার জন্য ২৩ মে থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ পর্যন্ত সময় দেয়। তবে তারপরও সময়সীমা ক্রমাগত বাড়ানো হচ্ছে। এখনও ২০০০ টাকার নোট জমা করে পরিবর্ত টাকা নেওয়া যেতে পারে। যদিও স্থানীয় ব্যাঙ্কে এই বিনিময় সম্ভব নয়।
মোট ১৯টি RBI অফিসে জমা করা যাবে। সেগুলো হল, আহমেদাবাদ, বেঙ্গালুরু, বেলাপুর, ভোপাল, ভুবনেশ্বর, চণ্ডীগড়, চেন্নাই, গুয়াহাটি, হায়দ্রাবাদ, জয়পুর, জম্মু, কানপুর, কলকাতা, লখনউ, মুম্বই, নাগপুর, নয়াদিল্লি, পাটনা এবং তিরুবনন্তপুর। নিকটবর্তী যে কোনও পোস্ট অফিসের মাধ্যমে ইন্ডিয়া পোস্টের মাধ্যমে এই নোটগুলি জমা করা যাবে।
বাজারে চলতি ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোট বন্ধ ঘোষণা করার পর ২০০০ টাকার নোট চালু হয়। ২০১৬ সালের ৮ নভেম্বর ৫০০ এবং ১ হাজার টাকার নোট বাতিল করেছিল নরেন্দ্র মোদীর সরকার। আরবিআইয়ের তরফে জানানো হয়েছিল, ২০১৬ সালে নোট বাতিলের সময় ৫০০ এবং ১ হাজার টাকার নোট বাতিল করা হয়েছিল। সেই সময় নোটের ঘাটতি পূরণ করতে বাজারে ২ হাজার টাকার নোট আনা হয়েছিল।
#End