Bangla News Dunia, বাপ্পাদিত্য:- ইন্টারনেটের যুগে কমবেশি সকলের হাতেই স্মার্টফোন। এই ধরনের ফোন ব্যবহারের সবথেকে বড় অসুবিধা হলো চার্জের সমস্যা। অতিরিক্ত ব্যবহারে অনেকের ফোনেই ব্যাটারির চার্জ ফুরিয়ে যায় দ্রুত। পাওয়ার ব্যাঙ্ক বা ফোনের চার্জার নিয়েই ঘুরতে হয় অনেক জনকে। কিন্তু ব্যাটারি দ্রুত খরচ হলে, সব সময় তা ব্যাটারির সমস্যার জন্যই হয় না। আমাদের স্মার্টফোনেই এমন অনেক অ্যাপ আছে, যেগুলি ব্যাটারির খরচ বাড়িয়ে দেয়। দেখে নিন এই সমস্ত অ্যাপের তালিকা। অ্যাপ ব্যবহার করেও ব্যাটারি কী ভাবে বাঁচাবেন জেনে নিন সেই টিপস।
ফিটবিট: এই ফিটনেস অ্যাপ ব্যাটারির যম। ব্যাকগ্রাউন্ডে এই অ্যাপ চলতে থাকলে হুহু করে ব্যাটারি খরচ হয়।
উবর: ব্যাটারি খরচের নিরিখে উবরও তালিকার উপরের দিকেই রয়েছে।
স্কাইপে: ভিডিয়ো কল বা ভিডিয়ো কনফারেন্সের জন্য জনপ্রিয় এই অ্যাপও ব্যাটারি খরচ করে বেশি।
ফেসবুক: ফেসবুক ব্যবহারেও চার্জ কমে যায়। অনেকের মোবাইলেই সারা দিন ফেসবুক চলে। তাঁদের ব্যাটারি খরচ হয় অনেক বেশি।
এয়ারবিএনবি: হোটেল বুকিং অ্যাপও ব্যাটারি লাইফের পক্ষে সহায়ক নয়।
ইনস্টাগ্রাম: এই সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাপেও ব্যাটারি খরচ হয় বেশি।
বাম্বল: ডেটিং অ্যাপ হিসাবে জনপ্রিয়তা বাড়ছে বাম্বলের। কিন্তু ডেটিংয়ে সঙ্গীকে খুঁজে পান বা না পান, আপনার স্মার্টফোনের ব্যাটারির চার্জ দ্রুত কমিয়ে দেয় এই অ্যাপ।
স্ন্যাপচ্যাট: এই সোশ্যাল মিডিয়া এবং মেসেজিং অ্যাপেও ব্যাটারির খরচ বেশি।
হোয়াটসঅ্যাপ: মেসেজিংয়ের জন্য এই অ্যাপের বিকল্প নেই। এই অ্যাপ ব্যবহার করেন না, এ রকম মানুষও কমই রয়েছেন। কিন্তু এই অ্যাপ চললে ব্যাটারিও দ্রুত শেষ হয়।
ব্যাটারি বাঁচানোর উপায়:
যে অ্যাপ ব্যবহার করছেন, তা ব্যাকগ্রাউন্ডে খুলে রেখে দেবেন না। অ্যাপের দরকার মিটলেও তা ক্লোজ় করে দেবেন। তাহলে অ্যাপগুলি ব্যাকগ্রাউন্ড চলবে না। অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোনের সেটিংয়ে গিয়েও ব্যাটারি অপটিমাইজ়েশন অপশনে বদল আনতে পারে। এর মাধ্যমেও অযথা ব্যাটারির খরচ এড়ানো সম্ভব। সেটিংসে গিয়ে ব্যাটারি মেনুতে যান। সেখানেই পাবেন ব্যাটারি অপটিমাইজ়েশন অপশন। তার ভিতরে গিয়ে অ্যাপের ব্যাকগ্রাউন্ড অ্যাক্টিভিটি কন্ট্রোল করতে পারবেন। এর মাধ্যমে ব্যাটারির সাশ্রয় করা সম্ভব হবে।