এর আগে, আদালত একটি নির্দেশ জারি করেছিল যে ৭ই মে তারিখের জন্য নির্ধারিত এই মামলার শুনানি যেন কোনোভাবেই স্থগিত না করা হয়। এই নির্দেশের ফলে কর্মীদের মধ্যে আশা জেগেছে যে দীর্ঘদিনের এই আইনি লড়াইয়ের একটি নিষ্পত্তি হতে চলেছে।
আরও পড়ুন : হঠাৎ কে মোদির কার্যালয়ে গেলেন রাহুল ও প্রধান বিচারপতি ?
সূত্রের খবর অনুযায়ী, এই শুনানিতে মূল মামলার পাশাপাশি আরও দুটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে। প্রথমটি হলো, সরকারি কর্মী সংগঠন ‘ইউনিটি ফোরাম’-এর পক্ষ থেকে দাখিল করা অতিরিক্ত কিছু নথি এবং দ্বিতীয়টি হলো, ‘সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ’-কে এই মামলায় অন্তর্ভুক্ত করার আবেদন। গত ৬ই মে, ২০২৫ তারিখে প্রকাশিত একটি অফিস রিপোর্ট অনুযায়ী, এই অতিরিক্ত আবেদনগুলিও মূল মামলার সঙ্গেই শোনা হবে বলে জানা গেছে।
এই মামলার রায় রাজ্য সরকারের আর্থিক নীতি এবং লক্ষাধিক সরকারি কর্মীর भविष्य নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। কেন্দ্রীয় হারে ডিএ পাওয়ার দাবিতে রাজ্য সরকারি কর্মীরা দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন ও আইনি লড়াই চালিয়ে আসছেন। কলকাতা হাইকোর্ট এর আগে রাজ্য সরকারকে কেন্দ্রীয় হারে ডিএ দেওয়ার নির্দেশ দিলেও, রাজ্য সরকার সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যায়।
আগামী ৭ই মে তারিখের এই শুনানির দিকেই এখন তাকিয়ে আছেন রাজ্যের লক্ষাধিক সরকারি কর্মী ও পেনশনভোগীরা। সকলেরই আশা, সর্বোচ্চ আদালত তাঁদের বহুদিনের এই ন্যায্য দাবির স্বপক্ষে রায় দেবে এবং এই দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান ঘটবে। এই শুনানির ফলাফল রাজ্যের প্রশাসনিক ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে সুদূরপ্রসারী প্রভাব ফেলতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।