ভ্যাকসিন এবং হোমিওপ্যাথি নোসোডের মিল কোথায় ? জানুন হোমিওপ্যাথির বিবর্তন

Bangla News Dunia , পল্লব : হোমিওপ্যাথিক নোসোড , ভারতে আমরা বলি, বিষে বিষে বিষক্ষয়। রোগসৃষ্টিকারী জীবাণুর বিরুদ্ধে শরীরে রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে জীবাণুকেই ব্যবহারের নীতি ভ্যাকসিনের ক্ষেত্রে মানা হয়। উদাহরণস্বরূপ, হাম এবং পোলিও ভাইরাস ব্যবহার করে ভ্যাকসিন তৈরি করা হয়, যা হাম এবং পোলিওর বিরুদ্ধে শরীরে রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা গড়ে তোলে। ডিপথেরিয়া, হুপিং কাশি টিটেনাস (ডিপিটি), যক্ষা (বিসিজি), রেবিস প্রভৃতির ক্ষেত্রেও একই নিয়ম অনুসরণ করা হয়।

আরো পড়ুন :-সিভিক ভলান্টিয়ারদের জন্য বড় ঘোষণা, বোনাসের পর অবসরকালীন সুবিধা বৃদ্ধি

ডা. রাজেশ শাহ হলেন একজন হোমিওপ্যাথ, গবেষক এবং শিক্ষাবিদ। তিনি মুম্বইয়ের লাইফ ফোর্স হোমিওপ্যাথি এবং বায়োসিমিলিয়ার প্রধান। নতুন নতুন নোসোড এবং অন্যান্য হোমিওপ্যাথিক ওষুধ, তিনি গত দু’দশক ধরে তৈরি করে চলেছেন। তাৎপর্যপূর্ণভাবে তিনি বিশ্বের প্রথম করোনা নোসোড তৈরি করেছেন এবং কোভিড প্যানডেমিকের প্রেক্ষিতে এর নিরাপত্তা এবং সক্রিয়তার পরীক্ষায় প্রিক্লিনিক্যাল ও ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালও করেছেন।

WhatsApp গ্রুপে যুক্ত হন

আপনি কি জানেন, হোমিওপ্যাথি নসোড এবং টিকাকরণের মধ্যে মিল কোথায় ? উত্তর হল, দুইই বিশ্বে প্রথম আসে 1976 সালে। হোমিওপ্যাথির উদ্ভব হয় জার্মানিতে ডা. স্যামুয়েল হ্যানিম্যানের হাত ধরে আর টিকাকরণের সূচনা করেন ইংল্যান্ডে ডা. এডওয়ার্ড জেনার। হোমিওপ্যাথি এবং টিকাকরণ, উভয়ই এই মৌলিক নীতির উপর নির্ভরশীল যে ‘যেমন রোগ, তেমন আরোগ্য’।

ভ্যাকসিন এবং হোমিওপ্যাথি নোসোড হোমিওপ্যাথিতে , ব্যাকটিরিয়া (যক্ষা, গণোরিয়া, সিফিলিস, স্ট্রেপটোকক্কাই), ভাইরাস (স্মলপক্স, হাম, রেবিস) এবং পরজীবী (স্ক্যাবিস, ফাংগাস, ম্যালেরিয়া) থেকে 50টিরও বেশি ওষুধ প্রস্তুত করা হয়, যাদের ‘নোসোড’ বলা হয়। নোসোড এবং ভ্যাকসিন, উভয়ই একই নীতির উপর নির্ভরশীল কিন্তু এদের ভিন্নভাবে তৈরি করা হয়। ভ্যাকসিন তৈরি করা হয় দুর্বলকরণ–এর মাধ্যমে জীবাণুগুলিকে দুর্বল করে দিয়ে। আর নোসোড তৈরি হয় সম্ভাবনাময়করণ–এর অভিনব প্রক্রিয়া মেনে। #End

আরো পড়ুন:-কালো পোশাক পরে গাড়ি চালালেই বিপদ, চালান পাঠাবে ট্রাফিক পুলিশ ! কেন জানেন ?