মাছের নামে ‘বিষ’ খাচ্ছেন? উঠে এলো চাঞ্চল্যকর তথ্য, জানতে পড়ুন বিস্তারিত

By Bangla News Dunia Desk Bappaditya

Published on:

fish

Bangla News Dunia, বাপ্পাদিত্য:- বাঙালির অতি প্রিয় মাছ-ভাত শুধু খাবারের আনন্দ নয়, জীবনের অপরিহার্য অংশ। রুই, কাতলা থেকে শুরু করে ইলিশ কিংবা গলদা চিংড়ি—প্রত্যেকটি মাছের প্রতি বাঙালির চাহিদা চিরকালীন। কিন্তু সম্প্রতি উঠে আসা একটি তথ্য উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। মাছ চাষে অতিরিক্ত অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহারের ফলে মানুষের স্বাস্থ্যে বিরূপ প্রভাব পড়ছে, যা দেশজুড়ে উদ্বেগ বাড়াচ্ছে।

অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্সের ঝুঁকি
জানা গিয়েছে, অনেক মাছ চাষে নিয়ম না মেনে অতিরিক্ত অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করা হচ্ছে। এটি মাছের মধ্যে ব্যাকটেরিয়া রেজিস্ট্যান্স তৈরি করছে। এর মাধ্যমে এই ব্যাকটেরিয়া মানুষের শরীরে প্রবেশ করে, যা ওষুধপ্রতিরোধী রোগ সৃষ্টি করছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এর ফলে প্রচলিত অ্যান্টিবায়োটিকের কার্যকারিতা কমে যাচ্ছে, এবং বহু রোগ আর ওষুধে সারছে না।

 

আরো পড়ুন:এবার মহাসমুদ্রে ডুব দিয়ে এলিয়েন খুঁজবে নাসা, কিভাবে? জানতে হলে পড়ুন

কেন্দ্রীয় গবেষণা সংস্থার উদ্যোগ
এই সমস্যার সমাধানে উদ্যোগী হয়েছে কেন্দ্রীয় গবেষণা সংস্থা আইসিএআর-সেন্ট্রাল ইনল্যান্ড ফিশারিজ রিসার্চ ইনস্টিটিউট (সিফরি)। ১৮ থেকে ২৪ নভেম্বর দেশজুড়ে পালন করা হয়েছে ‘বিশ্ব মাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স সচেতনতা সপ্তাহ’। এই কর্মসূচির মাধ্যমে মৎস্যচাষিদের সঠিক মাত্রায় অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহারের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে।

কেন এই পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে?
ভারতের মতো দেশে কৃত্রিম প্রজনন পদ্ধতিতে মাছ চাষে রোগ নিয়ন্ত্রণে অ্যান্টিবায়োটিকের ব্যবহার অনেক সময় অপরিহার্য। তবে জলাশয়ে অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহারের নির্দিষ্ট মাত্রা আছে। নিয়ম মেনে প্রয়োগ করা হলে এর ক্ষতিকর প্রভাব নেই। কিন্তু অনেক মৎস্যচাষি এই নিয়ম না মানার কারণে মাছের মাধ্যমে মানুষের শরীরে ক্ষতিকর প্রভাব পড়ছে।

বিশেষজ্ঞদের মতামত
কাকদ্বীপ রিসার্চ সেন্টারের মৎসবিজ্ঞানী দেবাশিস দে বললেন, ‘অ্যান্টিবায়োটিকের যথেচ্ছে ব্যবহার হচ্ছে বলে আমার কাছে কোনও খবর নেই। তবে কেউ কেউ না জেনে অতিরিক্ত ব্যবহার করছে। কেউ কেউ বাড়িতে পোনা মাছ চাষ করার জন্য না জেনে ওষুধ দিচ্ছে। যা ঠিক নয়। তবে গুণগত মান ধরে রাখতে না পারলে বরাত বাতিল হয়ে যাবে, তাই সবাই এটা করছে বলে মনে হয় না। সবথেকে বেশি ওষুধ দেওয়া হচ্ছে চিংড়ি আর পাঙ্গাস মাছে। পাঙ্গাস মাছ সবকিছু খায়। আর তাড়াতাড়ি বাড়ে। মাছের খাবারে মেশানো হয় ওষুধ। মাত্রাতিরিক্ত ওষুধের প্রয়োগ বিপজ্জনক। মৎসচাষীদের এ বিষয়ে সতর্ক থাকা উচিত।’

 

আরো পড়ুন: ‘হলুদ-নিম-লেবুর জলেই ক্যান্সার পরাস্ত’, সিধুর দাবি সঠিক? কি জবাব দিলেন টাটা মেমোরিয়ালের ডিরেক্টর, দেখুন

আরো পড়ুন:- ২৯০০ কোটি টাকা বরাদ্দ নবান্নর, উপকৃত হবেন ১ কোটি ৭ লক্ষ মানুষ, বড় প্রকল্প রাজ্য সরকারের

#END

এই রকম খবর পেতে দয়া করে আমাদের চ্যানেল ফলো করুন

আরো পড়ুন :- মণিপুর সংকটের অবসানে চাই হস্তক্ষেপ, রাষ্ট্রপতিকে চিঠি খাড়গের

আরো পড়ুন :- সরল বাধা, পার্পল লাইনে দুরন্ত গতিতে হবে মেট্রোর কাজ! জোকা-বিবাদী বাগ রুট নিয়ে সুখবর

আরো পড়ুন :- বন্দে ভারতের খাবারে পোকা! অভিযোগ উঠতেই ক্যাটারিং সংস্থাকে ৫০ হাজার ফাইন রেলের

Bangla News Dunia Desk Bappaditya

মন্তব্য করুন