ITR ফাইল করেছেন, অথচ রিফান্ড এখনো পাননি ? কারণ এবং সমাধান জানুন

By Bangla News Dunia Desk - Pallab

Published on:

আয়কর জমা দেওয়ার পর অনেকেই অধীর আগ্রহে রিফান্ডের জন্য অপেক্ষা করেন। কিন্তু অনেক সময় দেখা যায় যে এই রিফান্ড পেতে বেশ দেরি হচ্ছে। এর পেছনে থাকতে পারে বেশ কিছু সাধারণ ভুল। এই প্রতিবেদনে আমরা আলোচনা করব সেই সমস্ত ভুলগুলি নিয়ে, যা এড়িয়ে চললে আপনি সময়মতো আপনার আয়কর রিফান্ড পেতে পারেন।

আরো পড়ুন : সবাইকে নতুন বাড়ি তৈরি করে দিচ্ছে মোদী সরকার ! কিভাবে আবেদন জানাবেন ?

আয়কর রিফান্ডে দেরির কারণ

আয়কর বিভাগ এখন সম্পূর্ণ ডিজিটাল পদ্ধতিতে কাজ করে। ফলে, সামান্য ভুল তথ্যের জন্যও আপনার রিফান্ড আটকে যেতে পারে। নীচে কিছু প্রধান কারণ উল্লেখ করা হলো:

  • ই-ভেরিফিকেশন না করা: আয়কর রিটার্ন (ITR) ফাইল করার পর নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তা ই-ভেরিফাই করা বাধ্যতামূলক। অনেকেই এই কাজটি করতে ভুলে যান। মনে রাখবেন, ই-ভেরিফিকেশন ছাড়া আপনার রিটার্ন জমা দেওয়ার প্রক্রিয়াটি সম্পূর্ণ হয় না। এর ফলে রিফান্ড প্রক্রিয়া শুরুই হতে পারে না। আপনি আধার ওটিপি, নেট ব্যাঙ্কিং বা ডিম্যাট অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে সহজেই ই-ভেরিফাই করতে পারেন।
  • ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের ভুল তথ্য: রিফান্ড সরাসরি আপনার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে জমা হয়। যদি আপনার দেওয়া ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের নম্বর বা IFSC কোড ভুল থাকে, তাহলে রিফান্ড আটকে যাবে। তাই, ITR ফাইল করার সময় আপনার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের বিবরণী মনোযোগ সহকারে পূরণ করুন। এছাড়াও, নিশ্চিত করুন যে আপনার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টটি প্রি-ভ্যালিডেটেড (pre-validated) আছে।
  • PAN এবং Aadhaar লিঙ্ক না করা: আয়কর বিভাগের নিয়ম অনুযায়ী, প্যান কার্ডের (PAN) সঙ্গে আধার কার্ড (Aadhaar) লিঙ্ক করা বাধ্যতামূলক। যদি আপনার এই দুটি লিঙ্ক করা না থাকে, তাহলে আপনার রিটার্ন প্রক্রিয়া আটকে যেতে পারে এবং ফলস্বরূপ রিফান্ড পেতে দেরি হতে পারে।
  • ফর্ম 26AS এবং ITR-এর তথ্যে গরমিল: আপনার TDS (Tax Deducted at Source) এবং অন্যান্য কর সংক্রান্ত তথ্য ফর্ম 26AS-এ নথিভুক্ত থাকে। যদি আপনার দাখিল করা ITR-এর তথ্যের সঙ্গে ফর্ম 26AS-এর তথ্যের কোনো অমিল পাওয়া যায়, তাহলে আয়কর বিভাগ আপনার ফাইলটি আরও পর্যালোচনার জন্য আটকে রাখতে পারে। এর ফলে রিফান্ড পেতে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি সময় লাগতে পারে।
  • আয়কর দফতরের নোটিশের উত্তর না দেওয়া: অনেক সময় আয়কর বিভাগ কিছু তথ্যের সত্যতা যাচাই করার জন্য বা অতিরিক্ত তথ্য জানার জন্য আপনাকে নোটিশ পাঠাতে পারে। যদি আপনি সেই নোটিশের উত্তর সময়মতো না দেন, তাহলে আপনার রিফান্ড প্রক্রিয়া স্থগিত হয়ে যেতে পারে। তাই, নিয়মিত আপনার ইমেল এবং আয়কর দফতরের পোর্টাল পরীক্ষা করুন।

কীভাবে এই সমস্যা এড়ানো যায়?

  • ITR ফাইল করার পরেই ই-ভেরিফিকেশন সেরে ফেলুন।
  • ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের সমস্ত তথ্য দুবার পরীক্ষা করে নিন।
  • প্যান ও আধার লিঙ্ক আছে কিনা তা নিশ্চিত করুন।
  • ITR ফাইল করার আগে ফর্ম 26AS এবং আপনার আয়ের সমস্ত নথি মিলিয়ে নিন।
  • আয়কর দফতরের পোর্টাল এবং আপনার রেজিস্টার্ড ইমেল নিয়মিত দেখুন যাতে কোনো নোটিশ এলে সঙ্গে সঙ্গে উত্তর দিতে পারেন।

আরও পড়ুন : যে কোনও মুহূর্তে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হতে পারে? কেন এমন আশঙ্কা কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর ? জানুন

Bangla News Dunia Desk - Pallab

মন্তব্য করুন