কলকাতার গা ছমছমে ভয়ংকর ভৌতিক স্থান ! জানুন সেই জায়গা গুলি সম্পর্কে

By Bangla News Dunia Desk - Pallab

Published on:

Ghost

Bangla News Dunia  , Pallab : কালীপুজোর সঙ্গে ভূতপ্রেতের সম্পর্ক অস্বীকার করা যায় না। এক তো কালীপুজোর আগের রাতেই পালিত হয় ভূত চতুর্দশী। তার ওপর কালীর করালবদনী মূর্তির পাশে অনেক জায়গাতেই থাকে ডাকিনী প্রেতিনীদের মূর্তিও। এই অমাবস্যা ভূতপ্রেতদের অত্যন্ত প্রিয় বলেও মনে করা হয়।

ভূত বিশেষজ্ঞদের মতেও কলকাতার অনেক জায়গাতেই প্রেতাত্মার উপস্থিতি আছে। যাঁরা ভূত মানেন না, তাঁরা এসব কথায় কান না দিলেও ভূত প্রেতের প্রতি আগ্রহ কিন্তু মানুষের চিরকালীন। দেখে নেওয়া যাক কলকাতার কোন কোন জায়গায় অশরীরীর খোঁজ পেতে পারেন আপনি।

ন্যাশনাল লাইব্রেরি

আলিপুর চিড়িয়াখানার কাছে ১৮৩৬ সালে প্রতিষ্ঠিত ন্যাশনাল লাইব্রেরিতে সারা পৃথিবীর দুষ্প্রাপ্য, দুর্মূল্য, দুর্লভ সব বইয়ের সংগ্রহের পাশাপাশি আছে রহস্যময় ভৌতিক কান্ডকারবারও! শোনা যায়, সুবিশাল লাইব্রেরির অনেক রক্ষী রাতের অন্ধকারে এক মহিলার কান্না শুনতে পান।

রাইটার্স বিল্ডিং

ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির রাইটারদের জন্য পরাধীন ভারতে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল রাইটার্স বিল্ডিং। এখানেই ১৯৩০ সালের ৮ ডিসেম্বর তিন প্রখ্যাত স্বাধীনতা সংগ্রামী বিনয়, বাদল এবং দীনেশ পুলিশের তত্‍কালীন ইন্সপেক্টর জেনারেল কর্নেল সিম্পসনকে গুলি করে হত্যা করেন। অনেকে বলেন এখনও রাইটার্স বিল্ডিং-এ সিম্পসনের আত্মা ঘুরে বেড়ায়।

আরো পড়ুন:- আয়ের প্রায় 65% দান করতেন তিনি, রতন টাটার জীবনের আরও অজানা তথ্য মুগ্ধ করবে আপনাকে

​হেস্টিংস হাউস

আলিপুরে ব্রিটিশ আমলের গভর্নর জেনারেল ওয়ারেন হেস্টিংস দ্বারা নির্মিত ভবনটি হেস্টিংস হাউস নামে পরিচিত। বর্তমানে এটি মহিলাদের কলেজ। এই কলেজের অনেক ছাত্রীই এখানে রহস্যময় এক ব্যক্তিকে ঘুরে বেড়াতে দেখেছেন।

মল্লিকঘাট

হাওড়া ব্রিজের নীচে মল্লিকঘাট ফুলবাজারের সামনের ঘাটেও ভূতের অস্তিত্ব টের পান অনেকেই। এখানে আবার সাদা শাড়ি পরিহিত পেত্নী নাকি ঘোরে। যাঁরা নিয়মিত যাতায়াত করেন, তাঁরা নাকি প্রতিদিন একটা না একটা ভৌতিক কাণ্ডকারখানার স্বাক্ষী থেকেছেন।

নিমতলা শ্মশানঘাট

কলকাতার বিখ্যাত শ্মশানঘাট নিমতলা। অমবস্যার রাত এলেই এখানে নাকি তেনাদের আনাগোনা শুরু হয়। তারপর ভূত চতুর্দশীর বিশেষ দিনে তো কথাই নেই। কত নাকি অশীরীরি আত্মার বিচরণ ঘটে এই নিমতলা ঘাটে। কত রকমের অলৌকিক ঘটনা ঘটে।

লোয়ার সার্কুলার রোডের গোরস্থান

লোয়ার সার্কুলার রোডের কবরস্থানে শায়িত রয়েছে স্যার উইলিয়াম হে ম্যাকনটন। প্রথম ইঙ্গ-আফগান যুদ্ধে তিনি নিহত হয়েছিলেন। তাঁর দেহ সমাধিস্থ করা হয়েছিল এই গোরস্থানে।

দক্ষিণ পার্ক স্ট্রিট গোরস্থান

পার্কস্ট্রিটের এই গোরস্থানে বেশিরভাগ সমাধিই ব্রিটিশ সৈন্যদের। কলকাতার সবথেকে পুরনো এই কবরস্থান নিয়ে অনেক গল্প রয়েছে।

কলকাতা হাইকোর্ট

১৩ নম্বর কোর্ট রুম। দেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে এখান থেকেই। অনেকের দাবি, এখনও গভীর রাতে রক্তাক্ত পা হেঁটে গিয়ে ঢোকে ওই কোর্ট রুমে।

আকাশবাণী

কলকাতার পুরনো ভুতুড়ে বাড়ির মধ্যে এক নম্বর গারস্টিন প্লেস এবং দ্বিতীয় এর প্রথম অফিস। আকাশবাণীর পুরনো দফতর গারস্টিন প্লেসে বারবার দেখা গিয়েছে অশরীরী আত্মা। ফাঁকা লম্বা করিডর, অজস্র স্টুডিও আর ব্রিটিশ অবকাঠামো মিলিয়ে আকাশবাণীর ভুতুড়ে অস্তিত্ব অস্বীকার করা যায় না। রাত গভীর হলে অনেকেই দেখেছেন সাহেবের ছায়া উবু হয়ে কাজ করছে।

রেসকোর্স

ঘোড় প্রতিযোগিতায় মুখরিত থাকে ক্যালকাটা টার্ফ ক্লাব খ্যাত রেসকোর্স ময়দানেও নাকি তেনারা রয়েছে। রাতে এখানে ঘটে যায় অলৌকিক সব ঘটনা। কে বা কারা যেন ঘোড়া নিয়ে ছুটে বেড়ান এখানে। স্পষ্ট দেখতে পাওয়া ঘোড়া নিমিষেই বাতাসে মিলিয়ে যায়। ইতিহাসে রয়েছে একটি কাহিনি।

পুতুলবাড়ি

হুগলি নদীর তীরে অবস্থিত পুতুলবাড়ি এই শহরের আরও একটি ভৌতিক জায়গা। এই বাড়িতে কিছু অসাধারণ পুতুলের সংগ্রহ আছে। ধনী বাবুদের হাতে দীর্ঘদিন ধরে যৌন অত্যাচারিতা হতেন যে মহিলারা, তাঁদের আত্মা এখনও এই বাড়িতে ঘুরে বেড়ায় বলে অনেকের বিশ্বাস।

হাওড়া ব্রিজ

১৯৪৩ সালে আম জনতার জন্য খুলে দেওয়া হয়েছিল হাওড়া ব্রিজ। কলকাতার গর্ব এই ব্রিজ শুধু এর সৌন্দর্যের জন্য বিখ্যাত নয়, এটিও কলকাতার ভুতুড়ে স্থানগুলির মধ্যে অন্যতম। বহু সময় বহু মানুষ হাওড়া ব্রিজ গঙ্গার জলে ঝাঁপিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।

রাইটার্স বিল্ডিং

একদা রাজ্যের মূল প্রশাসনিক ভবন। এই বাড়ির ফাঁকা ঘরগুলিই ছিল ভূতের বাসস্থান। রাত নামলেই তাঁদের হুড়োহুড়ি শুরু হয়।

রবীন্দ্র সরোবর মেট্রো স্টেশন

এই স্টেশনেই নাকি আড্ডা বসায় ভূতের দল। একেবারে গোলটেবিল বৈঠক শুরু হয় রাত নামলেই। যাঁরাই শেষ মেট্রায় সওয়ারি হয়ে রবীন্দ্র সরোবর স্টেশনে নেমেছেন, তাঁরা সাক্ষী থেকেছেন ভুতুড়ে কাণ্ডের।

জেনারেল পোস্ট অফিস (জিপিও)

এই বাড়িটিও ভূতুড়ে বলে কুখ্যাত। বহু অলৌকিক ঘটনার সাক্ষী থেকেছেন এখানকার কর্মচারীরা। অচেনা মানুষের ছায়া, রাতে অপ্রত্যাশিত পায়ের শব্দ, কথা বলার শব্দ, হঠাৎ ঠান্ডা আবহাওয়া ইত্যাদি এখানে নাকি প্রতিনিয়তই অনুভব করা যায়।

জাদুঘর

কলকাতায় জাতীয় জাদুঘরেও অনেক অলৌকিক ঘটনার সাক্ষী থেকেছেন এখানে রাতপাহারায় থাকা কর্মীরা। #End

আরো পড়ুন:- বেকার ছেলে মেয়ে সবাইকে প্রতিমাসে ৩০০০ টাকা দিচ্ছে কেন্দ্র সরকার, কিভাবে ই শ্রম কার্ড অনলাইন আবেদন করবেন?

এই রকম খবর পেতে দয়া করে আমাদের চ্যানেল ফলো করুন

আরো খবর দেখুন :- বিনা সুদে 5 লাখ টাকা লোন দিচ্ছে কেন্দ্র সরকার। কিভাবে আবেদন করবেন জেনে নিন

আরো খবর দেখুন :- জানেন ভারতের পূর্বনাম কি ছিল ? কিভাবে এল আর্যরা ? জানুন অজানা ইতিহাস

আরো খবর দেখুন : শরীরের বিভিন্ন অংশে ব্যাথার সমস্যায় ভুগছেন ? দ্রুত মুক্তি দেবে হোমিওপ্যাথি

Bangla News Dunia Desk - Pallab

মন্তব্য করুন