Bangla News Dunia, বাপ্পাদিত্য:- রিজার্ভ ব্যাঙ্ক 2024-25 অর্থবছরের জন্য কেন্দ্রীয় সরকারকে তার লভ্যাংশ দিয়েছে যা এখনও পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি পরিমাণ লভ্যাংশের রেকর্ড। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক তার আয় থেকে সরকারকে 2.69 লক্ষ কোটি টাকা দিয়েছে। এর প্রভাব সাধারণ মানুষের পকেটের উপরও পড়বে। এতে ব্যাঙ্কের EMI কমে যেতে পারে। ব্যাঙ্কগুলি সুদের হার কমাতে পারে। চলুন, রিজার্ভ ব্যাঙ্কের লভ্যাংশ অর্জন এবং প্রদানের পদ্ধতি সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক কেন্দ্রীয় সরকারের ব্যাঙ্ক। এর কাজ হল দেশের আর্থিক স্বাস্থ্যের যত্ন নেওয়া। যখনই অর্থনীতিতে কিছু অস্থিরতা দেখা দেয় বা যখন ভারতীয় রুপি দুর্বল হতে শুরু করে, তখন রিজার্ভ ব্যাঙ্ক সরকারকে সাহায্য করতে এগিয়ে আসে। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক ডলার ক্রয়-বিক্রয় এবং নোট ছাপিয়ে অর্থের জোগান বজায় রাখে। এর পাশাপাশি, আরবিআই বিদেশী বন্ডে বিনিয়োগ করেও অর্থ উপার্জন করে।
সাধারণ মানুষ কী কী সুবিধা পাবেন?
আরবিআই কেন্দ্রীয় সরকারকে তার লভ্যাংশ প্রদান করলে কেন্দ্রীয় কোষাগাড়ে অর্থের ঘাটতি হ্রাস পাবে। এর ফলে ব্যাঙ্কগুলি সুদের হার কমাতে পারে। আশা করা হচ্ছে যে, রিজার্ভ ব্যাঙ্ক আগামী মাসেও সুদের হার কমাতে পারে। এর ফলে, ঋণের EMI বা মাসিক কিস্তির পরিমাণ কমে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাছাড়া, এটি প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে সরকারকে অনেক স্বস্তি দিতে পারে। কারণ, আশা করা হচ্ছিল যে ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনার কারণে ভারতকে তার প্রতিরক্ষা বাজেট বাড়াতে হবে। আরবিআই থেকে প্রাপ্ত অর্থের কারণে, সরকার এই খাতে বাড়তি খরচের বোঝা থেকে স্বস্তি পাবে।
কোন ভিত্তিতে আরবিআই এই লভ্যাংশের টাকা দেয়?
আরবিআই নোট ছাপিয়ে, বন্ড বাজারে বিনিয়োগ করে এবং ডলার কেনা-বেচার মাধ্যমে তার লভ্যাংশ অর্জন করে। কিন্তু রিজার্ভ ব্যাঙ্ক তার আয়ের কত ভাগ কেন্দ্রীয় সরকারকে দেবে? অর্থাৎ, প্রতি বছর সরকারি অ্যাকাউন্টে কত লভ্যাংশ যাবে। এই বিষয়ে একটি নিয়ম রয়েছে। আগে, আরবিআই তার আয়ের 5.5 শতাংশ থেকে 6.6 শতাংশ জরুরি তহবিল হিসেবে রাখত। কিন্তু 2018 সালে, প্রাক্তন আরবিআই গভর্নর বিমল জালানের সভাপতিত্বে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছিল, যেখানে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল যে এখন থেকে ব্যাঙ্ক তার আয়ের 4.5 শতাংশ থেকে 7.5 শতাংশ জরুরি তহবিলের জন্য রাখতে পারবে।
আরও পড়ুন:- টানা ৩ দিন নিম্নচাপের বৃষ্টি এই জেলাগুলিতে। দেখে নিন, আপনার জেলা আছে কিনা