Bangla News Dunia, Pallab : ভারত এখন ডিজিটাল যুগে যাওয়ার একদম স্বর্ণযুগে এসে পৌঁছেছে। সেই সঙ্গে দেশের প্যান কার্ড ব্যবস্থাতেও এসেছে আমূল পরিবর্তন। কেননা ভারত সরকার চালু করেছে নতুন প্যান 2.0, যেটা দেশের সমস্ত পর্দা তাদের জন্য আরও নিরাপদ এবং উন্নত ডিজিটাল ব্যবস্থা প্রদান করবে। জানতে ইচ্ছে করছে নিশ্চয়ই, কি এই প্যান 2.0 ? কিভাবেই বা এখানে আবেদন করতে হবে ? আবেদন করার জন্য কি কি প্রয়োজন ? প্রতিদিন নানা প্রশ্ন। তাহলে চিন্তার কোন কারণ নেই সমস্ত বিস্তারিত আলোচনাটি আমরা এই প্রতিবেদনেই আপনাদের জন্য নিয়ে চলে এসেছি। সুতরাং সম্পূর্ণ প্রতিবেদনটা অবশ্যই মনোযোগ সহকারে পড়বেন।
আরও পড়ুন : Google থেকেই ইনকাম হবে লাখ লাখ টাকা। কিভাবে? জেনে নিন 4 সেরা টিপস
প্যান কার্ড 2.0 আসলে কি ?
কেন্দ্রীয় সরকারের এই নতুন প্যান কার্ড 2.0 হলো, একটি Unified Digital Portal । যেটা সম্পূর্ণভাবে কেন্দ্রীয় ভারত সরকারের সিস্টেমের দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে। এর মাধ্যমে প্যান একটি ডিজিটাল প্লাটফর্মের মাধ্যমে একত্রিত করা হবে। যার ফলে করদাতাদের জন্য পুরো কর ব্যবস্থা টি আরও সহজ এবং সহজলভ্য হয়ে উঠবে ভবিষ্যতে।
প্যান কার্ডের নতুন পদ্ধতিতে থাকছে Centralized Data Volt, যেটা আবার সমস্ত প্যান কার্ড 2.0 ব্যবহারকারী ব্যাক্তিদের সমস্ত রকম তথ্য আরও নিরাপদে সংরক্ষণ করে রাখবে নিজেদের ডেটাবেসে। পাশাপাশি এই নতুন কার্ড দিতে থাকছে একটি আধুনিক QR কোড এর সু ব্যবস্থা, যার মাধ্যমে অত্যন্ত দ্রুতগতি এর সাথে ভেরিফিকেশন ও অথেন্টিকেশন করা সম্ভব হয়ে উঠবে।
আরো পড়ুন : ফিক্সড ডিপোজিট নাকি প্রভিডেন্ট ফান্ড? কোথায় বিনিয়োগ করলে মোটা টাকা সুদ পাবেন, জানুন
কিভাবে আবেদন করতে হবে এই নতুন প্যান কার্ড 2.0 তে ?
ভারতবর্ষে যে সমস্ত ব্যক্তির ইতিমধ্যেই নরমাল প্যান কার্ড রয়েছে, তাদের আর আলাদাভাবে এই নতুন প্যান কার্ড 2.0 তে আবেদন করার প্রয়োজন নেই। তবে যদি নর্মাল প্যানকার্ড ধারী ব্যাক্তি QR কোড যুক্ত প্যান কার্ড 2.0 পেতে চাই, তাহলে তাকে অবশ্যই আবেদন করে সেটা সংগ্রহ করতে হবে। আর যে সমস্ত ব্যক্তিরা নতুন প্যান কার্ড বানাতে চান তারা প্রথমে NSDL কিংবা UTI প্যান কার্ডের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট ভিজিট করবে।
সেখানে গিয়ে নিজেদের যাবতীয় সমস্ত রকম তথ্য দিয়ে অ্যাপ্লিকেশন ফর্ম পূরণ করতে হবে। তারপর সেখানে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস্ গুলোকে আপলোড করতে হবে। দিয়ে প্যান কার্ডের জন্য যে অ্যাপ্লিকেশন ফি নেওয়া হয়, সেটা পেমেন্ট করে দিয়ে সাবমিট করে দিলেই আপনার আবেদনটি সম্পূর্ণ হবে। তবে এখানে একটা কথা মনে রাখতে হবে যে, কার্ড তৈরি করার সময় পরিচয় পত্রের প্রমাণ হিসেবে আধার কার্ড, ভোটার কার্ড, পাসপোর্ট, ড্রাইভিং লাইসেন্স ইত্যাদির প্রয়োজন পড়বে। ঠিকানার প্রমাণপত্র হিসেবে ব্যাংকের স্টেটমেন্ট, ইলেকট্রিক বিল, বাড়ি ভাড়া চুক্তিপত্র প্রয়োজন এবং জন্ম তারিখের প্রমাণ হিসেবে জন্ম সার্টিফিকেট, স্কুল ট্রান্সফার সার্টিফিকেট কিংবা পাসপোর্ট প্রয়োজন।