Bangla News Dunia, Pallab : কাশ্মীরের পেহেলগাঁওয়ে সন্ত্রাসী হামলায় ফুঁসে রয়েছে ভারত। ইতিমধ্যে দেশজুড়ে যুদ্ধের মহড়া।আগামী ৭ মে দেশের ২৪৪ জেলায় মক ড্রিল (Mock Drill). গত ২২ এপ্রিল পেহেলগাঁওতে ২৬ জন নিরীহ পর্যটকের উপর সন্ত্রাসী হামলা পাক জঙ্গিদের। তারপর থেকেই উত্তপ্ত সীমানা। যদিও পাকিস্তানকে উচিত শিক্ষা দিতে একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছে ভারত সরকার (Indian Government) নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi). তবে রক্তবীজ-এর যেন শেষ হওয়ার নয়। তাই এবার পাল্টা আক্রমণ করতে প্রস্তুত ভারত। আগামীকাল দেশ জুড়ে মহড়া, মক ড্রিল অনুষ্ঠিত হতে চলেছে।
আরও পড়ুন : হঠাৎ কে মোদির কার্যালয়ে গেলেন রাহুল ও প্রধান বিচারপতি ?
মক ড্রিল কী?
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে গতকাল সোমবার রাজ্যগুলিকে চিঠি লিখে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে অসামরিক মহড়া চালাতে। সারা দেশের মোট ২৭টি রাজ্যে এবং ও ৮টি কেন্দ্রীয় শাসিত অঞ্চলে অসামরিক মহড়া অনুষ্ঠিত হবে। এ দেশের মোট ২৫৯টি এলাকায় এই মহড়া হবে বলে সূত্রের খবর।যার মধ্যে রয়েছে ৩১টি জায়গা। যার প্রস্তুতি শুরু হয়েছে এখন থেকেই। মূলত যুদ্ধকালীন পরিস্থিতি – ঠিক কী কী করা যাবে, জনসাধারণ কী করতে পারবেন, কী করতে পারবেন না, তা নিয়ে সাধারণ পাঠ দিকে বুধবার দিন আসামরিক মহড়া অনুষ্ঠিত হতে চলেছে।
এখন জনসাধারণের মধ্যে একটা প্রশ্ন রয়েছে, এই মক ড্রিল আসলে কি? জেনে রাখুন, মক ড্রিল বা অসামরিক মহড়া হল একটি অনুশীলন। যা মূলত জরুরি অবস্থার সময় মেনে চলতে হবে। জানা যাচ্ছে, দেশের নাগরিক, সংস্থাগুলিকে নিরাপদ পরিবেশে রাখার জন্য যুদ্ধের আগে এই বিশেষ ধরনের অনুশীলন দেওয়া হয়। এর আগে ভারতে শেষ অসামরিক মহড়া ১৯৭১ সালে ভারত-পাক যুদ্ধের (India-Pak War) সময় হয়েছিল। সেবারের পর এই প্রথম দেশে অসামরিক মহড়া হতে চলেছে।
কোন কোন দিক থেকে প্রস্তুতি নেওয়া হবে?
১) যুদ্ধের সময় যদি বিমান হামলা হয় সেক্ষেত্রে সাইরেন আকাশ হুমকি সম্পর্কে আগের থেকেই দেশের সাধারণ মানুষকে সতর্ক করা হবে।
২) যুদ্ধবিমানের খবর পাওয়া মাত্র হঠাৎ করেই যাতে সমস্ত আলো নিভিয়ে দিয়ে ক্রাশ ব্ল্যাকআউট করা হবে, যাতে শত্রু বিমানবাহিনীকে বিভ্রান্ত করে দেওয়া যায়।
৩) শত্রুপক্ষের বিমান হামলার ক্ষেত্রে দ্রুত এবং নিরাপদে সাড়া দেওয়ার জন্য বেসামরিক নাগরিক দেরও প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।
৪) আগের থেকে বেসামরিক কর্তৃপক্ষ এবং ভারতীয় বিমান বাহিনীর মধ্যে যে হটলাইন এবং রেডিও লিঙ্কগুলি রয়েছে সেগুলি সক্রিয় করা হবে এবং পরীক্ষা করা হবে।
৫) জরুরিকালীন অবস্থায় নিয়ন্ত্রণ কক্ষ এবং তাদের ব্যাকআপ কতটা কার্যকরী হবে আর ভালোভাবে কাজ করে সেটাও পরীক্ষা করা হবে।
৬) মৌলিক নাগরিক প্রতিরক্ষা কৌশলের মাধ্যমে সাধারণ মানুষ ও শিক্ষার্থীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।
৭) সকল শোধনাগার, রেল ইয়ার্ডের গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোগুলিকে আকাশ থেকে সনাক্তকরণ অথবা আক্রমণ থেকে রক্ষা করার অনুশীলন করা হবে।
৮) প্রস্তুতি পরীক্ষা করা হবে উদ্ধারকারী দল এবং অগ্নিনির্বাপক কর্মীদের।
৯) যাতে বিপদজনক অঞ্চল থেকে সাধারণ মানুষ কে নিরাপদ এলাকায় সরিয়ে নেওয়ার যায় তার জন্যও পরিকল্পনা মহড়া করা হবে।
১০) বেসামরিক নাগরিকদের জন্য প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান, এছাড়া, অগ্নিনির্বাপক সরঞ্জাম পরিচালনা ও জরুরি অবস্থার সময় আশ্রয় নেওয়া যাবে, তার বিষয়ে হাতে-কলমে প্রশিক্ষণ নেওয়া হবে।