Bangla News Dunia, বাপ্পাদিত্য:- চা, কফি হোক বা মিষ্টি কিছু – চিনি ছাড়া যেন চলেই না! কিন্তু অতিরিক্ত চিনি শরীরের নানা সমস্যা তৈরি করে, তা আমরা অনেকেই জানি। প্রশ্ন উঠছে, তাহলে রোজ কতটা চিনি খাওয়া নিরাপদ? চিকিৎসক ও পুষ্টিবিদদের মতে, দৈনিক চিনির একটা নির্দিষ্ট সীমা আছে, যা অতিক্রম করলেই বিপদ বাড়ে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO)-এর মতে, একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের দৈনিক চিনি খাওয়ার পরিমাণ ২৫ গ্রাম বা ৬ চামচের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখা উচিত। এর বেশি খেলে শরীরে ক্যালোরি জমে, ওজন বাড়ে এবং ডায়াবেটিস, হৃদরোগ ও দাঁতের সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।
বিশেষ করে যারা বাড়তি ওজন, হাই ব্লাড প্রেসার বা ডায়াবেটিসে ভুগছেন, তাঁদের ক্ষেত্রে চিনির পরিমাণ আরও নিয়ন্ত্রণে রাখা জরুরি। এমন ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে ৩-৪ চামচের বেশি চিনি না খাওয়াই ভালো।
চিনির প্রধান কাজ হল শরীরে তৎক্ষণাত শক্তি জোগানো। কিন্তু এই শক্তির মাত্রা যদি প্রয়োজনের তুলনায় বেশি হয়, তাহলে সেটা ফ্যাট হিসেবে জমে যায়। এই জমা ফ্যাট থেকে শুরু হয় মোটা হয়ে যাওয়ার প্রবণতা, ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স, তারপর টাইপ-২ ডায়াবেটিস।
অনেকেই ভাবেন, চায়ে কম চিনি দিলেই সব ঠিক। কিন্তু অতিরিক্ত চিনি শুধু মিষ্টি খাবারে নয়, অনেক রকম প্রসেসড খাবার, সফট ড্রিঙ্ক, প্যাকেটজাত সস, এমনকি ব্রেড বা পাউরুটিতেও থাকে। তাই ‘হিডেন সুগার’ থেকেও সচেতন থাকতে হবে।
পুষ্টিবিদরা বলছেন, স্বাদ বদলের জন্য চিনি বাদ না দিয়ে বরং পরিমাণ কমিয়ে খাওয়াই ভাল। চাইলে প্রাকৃতিক বিকল্প যেমন খেজুরের গুঁড়, মধু বা স্টেভিয়া ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে এগুলিও সীমিত পরিমাণেই খাওয়া উচিত।
সারাংশ হল, রোজ ৬ চামচ বা ২৫ গ্রামের বেশি চিনি না খাওয়াই ভালো। স্বাস্থ্য ভালো রাখতে হলে সব কিছুর মধ্যেই ভারসাম্য বজায় রাখতে হবে, চিনির ক্ষেত্রেও ব্যতিক্রম নয়।
আরও পড়ুন:- এটাই পৃথিবীর সবচেয়ে দুর্গম জায়গা, যেখানে মানুষ পৌঁছলে আর ফিরতে পারবে না