Bangla News Dunia, বাপ্পাদিত্য:- কৃষক সংগঠনগুলির লাগাতার আন্দোলনের জেরে এমনিতেই অস্বস্তিতে মোদী সরকার। এ বার প্রধানমন্ত্রী কিষান সম্মান নিধি প্রকল্পের বিস্তারিত তথ্য জানতে চেয়ে তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের লিখিত প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে যেন সেই অস্বস্তি আরও বাড়ল কেন্দ্রের।
অভিষেক জানতে চেয়েছিলেন, প্রধানমন্ত্রী কিষাণ সম্মান নিধি প্রকল্পের বিস্তারিত তথ্য৷ প্রকল্পের গোড়া থেকে শুরু করে এখনও পর্যন্ত প্রতি বছরে মোট কত টাকা বিজ্ঞাপনে খরচ হয়েছে তার বিস্তারিত পরিসংখ্যান চেয়েছিলেন অভিষেক। সেই ব্যয়ের যৌক্তিকতা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি।
সেই প্রশ্নের উত্তর অবশ্য গোপন করেছে মোদী সরকার৷ পাশাপাশি গত দশ বছরে ঘৃণাভাষণ, সংখ্যালঘুদের উপরে হামলা এবং গণপিটুনির ঘটনা বেড়েছে না কমেছে এবং এমন ঘটনা রুখতে কী পদক্ষেপ করা হয়েছে তা জানতে চেয়েছিলেন অভিষেক। তাঁর লিখিত সেই প্রশ্নের উত্তরও এড়িয়ে গিয়েছে মোদী সরকার। এ প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাইয়ের দাবি, আইনশৃঙ্খলা রাজ্যের এক্তিয়ারভুক্ত বিষয়। তৃণমূল সূত্রে খবর, এ বার সংসদে বাজেট ভাষণে বাংলার বঞ্চনা নিয়ে সরব হবেন অভিষেক।
আরও পড়ুন:- সকালের জলখাবারে এই ৬ ধরনের খাবার খেলে অ্যাসিডিটি হতে পারে
বাজেটে বাংলার বঞ্চনা নিয়ে বারংবার অভিযোগ তুলেছে তৃণমূল। সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার বাজেট বিতর্কে অংশ নিয়ে লোকসভায় মোদী সরকারকে তীব্র নিশানা করবেন অভিষেক৷ গত ১১ বছর ধরে বাজেটের নামে মোদী সরকার কী ভাবে বাংলাকে বঞ্চনা করেছে, তার বিস্তারিত পরিসংখ্যান তুলে ধরে কেন্দ্রীয় সরকারকে চেপে ধরবেন তিনি।
বাংলার বঞ্চনার বিরুদ্ধে রাজ্যসভায় সোচ্চার হবেন দলের তিন সাংসদ ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়, সুস্মিতা দেব এবং সাকেত গোখলেও৷ উল্লেখ্য, বাজেট পেশের পরেই অভিষেক বলেছিলেন, গত বারের মতো এ বারের বাজেটেও বাংলার জন্য তেমন কিছু নেই৷ বিজেপিকে ভোট দিচ্ছেন না বাংলার মানুষ। সেই কারণেই বাংলাকে বারবার বঞ্চনা করা হচ্ছে। জোর করে আটকে রাখা হচ্ছে বাংলার ন্যায্য পাওনা।
এর আগে অভিষেক কৃষকদের পরিস্থিতি নিয়ে যে সব প্রশ্ন তুলেছিলেন, তার উত্তরে এ দিন কেন্দ্রীয় কৃষি প্রতিমন্ত্রী রামনাথ ঠাকুর দাবি করেন, ২০১৯ সালে শুরু হওয়া এই প্রকল্পের আওতায় প্রতি বছরে মোট ছ’হাজার টাকা করে কৃষকদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পাঠানো হয়। এখনও পর্যন্ত ৩.৪৬ লক্ষ কোটি টাকা সরকার কৃষকদের অ্যাকাউন্টে ট্রান্সফার করেছে বলে দাবি করেন কৃষি প্রতিমন্ত্রী।
কিন্তু প্রকল্পের টাকা কী ভাবে খরচ হচ্ছে তার বার্ষিক খতিয়ান অভিষেক জানতে চাইলে তা এড়িয়ে গিয়েছে মোদী সরকার। উল্লেখ্য, কেন্দ্রের তরফে বরাবরই দাবি করা হয়েছে, ২০২২ সালের মধ্যে দেশের সর্বত্র কৃষকদের আয় দ্বিগুণ হবে। কিন্তু তা যে সত্য নয় সেই অভিযোগ জানিয়ে আসছে কৃষক সংগঠনগুলি৷ সেই অভিযোগের সত্যতার প্রমাণ মিলেছে তৃণমূলের আর এক সাংসদ দীপক অধিকারীর (দেব) লিখিত প্রশ্নের উত্তরে।
মঙ্গলবার তৃণমূলের সাংসদ-অভিনেতা দেবের লিখিত প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী রামনাথ ঠাকুর দাবি করেছেন, ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ এগ্রিকালচারাল রিসার্চ বা আইসিএআরের তরফে জানানো হয়েছে দেশের ৭৫ হাজার কৃষক তাঁদের আয় দ্বিগুণ করতে সক্ষম হয়েছেন। মোদী সরকারের এই তথ্যই কৃষকদের দুরবস্থার চিত্র তুলে ধরছে বলে সরব হয়েছে বিরোধীরা।
আরও পড়ুন:- টিক টিক! ঢং ঢং! এক নাগাড়ে কলকাতা শহরের গল্প বলছে যে ৫ টা ঘড়ি, বিস্তারিত জানতে পড়ুন…..
আরও পড়ুন:- চুপিসারে বাড়ল ডিএ! 3% হারে মহার্ঘ ভাতা বাড়ল রাজ্য সরকারি কর্মীদের। দেখে নিন বিস্তারিত