Bangla News Dunia, সারদা দে :- দেশে অনেক কৃষক আছেন যারা চাষ করে তেমন লাভ না পাওয়ায় হতাশ হয়ে পড়েছেন । তবে এখন আর চিন্তার দরকার নেই, বাগান করেও এখন আয় বাড়াতে পারেন কৃষকরা। যদি থাই অ্যাপেল কুল চাষ করেন তাহলে লাভের পরিমান আগের থেকে নিশ্চিত ভাবে অনেক বৃদ্ধি পাবে
থাই অ্যাপল কুল সম্পর্কে অজানা তথ্য
এটি থাইল্যান্ডের একটি মৌসুমি ফল। এই কুলগুলি চকচকে এবং আপেল আকৃতির। এটি ভারতের জলবায়ুর জন্য বেশ অনুকূল বলে মনে করা হয়। এই ফলটি ভারতীয় কুল থেকে কিছুটা বড়। ভারতে জম্মু ও কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী পর্যন্ত চাষ হচ্ছে। একটি গাছে বছরে ৪০-৫০ কেজি ফল ধরে।
আরো পড়ুন :- কম খরচে লাভজনক চাষ করতে চান ? সঠিক উপায় পেতে পড়ুন বিস্তারিত
থাই আপেল কুল চাষ করার পদ্ধতি
সব ধরনের জমিতে থাই আপেলের কুল চাষ করা যায়। দেশের যে কোনো রাজ্যেই এই কুল চাষ করা যায়। নিকটস্থ নার্সারি থেকে এই কুল গাছের চারা কিনতে হবে। এই কুল গাছের চারা পাওয়া যায় না, তাই গ্রাফটিং পদ্ধতিতে এসব গাছ লাগানো হয়। তবে উচ্চ আর্দ্রতাযুক্ত এলাকায় এটি চাষ করা উচিত নয়।
এই কুল গাছ বছরে দুবার জুলাই ও আগস্টে এবং ফেব্রুয়ারি ও মার্চ মাসে চাষ করা যায়। প্রথম দিকে এটি চাষ করতে খরচ বেশি হলেও , রোপণের এক বছর পর খরচ কমে যেতে থাকে । এক বছর পর ফল আসতে শুরু করে। থাই আপেল কুল গাছ একবার লাগানো হলে 20 বছর ধরে ফল ধরে। প্রাথমিকভাবে একটি গাছ থেকে ৩০ থেকে ৪০ কেজি ফল পাওয়া যায়, যা পরে ১০০ কেজিতে পৌঁছায়।
আরো পড়ুন :- হাজারো গুণ রয়েছে ছাগলের দুধে ! দেখুন কি কি উপকার পাবেন ?
থাই অ্যাপেল কুল এর বিশেষত্ব
- এই ফলটিতে রয়েছে উপকারী খনিজ যেমন ভিটামিন সি, এ, বি এবং চিনির পাশাপাশি খনিজ, জিঙ্ক, ক্যালসিয়াম ইত্যাদি।
- অ্যাপল কুল অন্যান্য কুলগুলির তুলনায় মিষ্টি, সুস্বাদু এবং গুণমানে সমৃদ্ধ।
- সাধারণ কুলের তুলনায় চেয়ে দুই থেকে তিন গুণ বেশি দাম পান কৃষকরা।
- দেশীয় জাতের তুলনায় এই আপেলের উৎপাদন দুই থেকে তিন গুণ বেশি।
- সরকার থেকে হাইব্রিড কুল গাছ চাষে কৃষকদের ৫০% ভর্তুকি প্রদান করা হয়।